বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন

মহেশখালীর আব্দুর রশিদ হত্যা: ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা; গ্রেপ্তার ১

মহেশখালী প্রতিবেদক : মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়নের উত্তর নলবিলা গ্রামের ধানক্ষেতে পিটিয়ে হত্যার শিকার মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে একজনকে।

মহেশখালী থানার ওসি কায়সার হামিদ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, কালারমারছড়ার উত্তর নলবিলায় আব্দুর রশিদ খুনের ঘটনায় স্ত্রী খুরশিদা বাদী হয়ে মঙ্গলবার দুপুরে অমিত ইকবালকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ইতিমধ্যে ঘটনায় জড়িত অভিযোগে এজাহারভূক্ত আসামি কামরুলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।ৎ

নিহতের ভাই ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, “এখন পর্যন্ত নতুন কোনো অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি তারা। শুধু একজনকে ধরে রেখে বলছে তদন্ত চলছে। আমাদের মনে হচ্ছে পুলিশ দ্রুত অভিযোগপত্র দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে, অথচ তদন্তে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই।

গত সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে ধানক্ষেতে ছাগল ঢুকে পড়া নিয়ে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়, যা মুহূর্তেই রূপ নেয় প্রাণঘাতী সংঘর্ষে। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, এই ঘটনাটি ছিল দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক উত্তেজনার বহিঃপ্রকাশ। নিহত মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। এলাকার কয়েকজন যুবক, যারা স্থানীয়ভাবে সাবেক সরকারদলীয় ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে জড়িত বলে পরিচিত, দীর্ঘদিন ধরে তাকে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছিল।

প্রত্যক্ষদর্শী এক কৃষক বলেন, “ঘটনার সময় আমরা ধানক্ষেতে ছিলাম। হঠাৎ চিৎকার শুনে ছুটে যাই। দেখি ৫-৬ জন যুবক মিলে রশিদ ভাইকে ঘিরে পিটাচ্ছে। একজন তার পিঠে লাঠি মারছে, আরেকজন মাথায় ঘুষি দিচ্ছে। তিনি বারবার মাফ চাইছিলেন। সেই দৃশ্য এখনো চোখে ভাসে প্রত্যক্ষদর্শীদের, যারা এ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।

ঘটনার পর স্থানীয় জনতা অভিযুক্তদের একজন, কামরুল হাসানকে তার নিজ ঘরের খাটের নিচ থেকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ তখন জানিয়েছিল, বাকি অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান অব্যাহত থাকবে। কিন্তু মঙ্গলবার রাত পর্যন্তও অমিত হাসান ও হেলাল উদ্দিনসহ অন্য অভিযুক্তদের কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এলাকাবাসী বলছেন, অভিযুক্তরা এলাকায় প্রকাশ্যে চলাফেরা করলেও পুলিশ কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না।

রশিদের স্ত্রী বলেন, “আমার স্বামীকে আমার ছেলেমেয়ের সামনে মেরে ফেলা হয়েছে। এখন যদি কেউ বিচার না করে, তাহলে আমরা কোথায় যাব? আমরা কার কাছে যাব? আমি বিচার চাই—যারা এই কাজ করেছে, তাদের যেন শাস্তি হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888