শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২৩ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে ২৫০ টি অলিভ রিডলি প্রজাতির কাছিমের বাচ্চা অবমুক্ত করা হয়েছে।
কক্সবাজার বনবিভাগ ও নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট (নেকম) এর যৌথ ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত নার্সারিতে জন্ম নেওয়া এসব কাছিমের বাচ্চা বুধবার (৯ এপ্রিল) ইনানী সৈকতে অবমুক্ত করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক ড. মোল্যা রেজাউল করিম।
কাছিমের বাচ্চা অবমুক্ত কালে তিনি বলেন, ‘’অলিভ রিডলি টারটল বা জলপাই রঙা সামুদ্রিক কাছিম এর বৃহৎ আবাস বঙ্গোপসাগর। সাগরের অনন্য জীববৈচিত্র্যের এই মূল্যবান অনবদ্য অনুষঙ্গটি সাগরের প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য ও ইকোসিস্টেম সংরক্ষণের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।‘’
কাছিমের বাচ্চা অবমুক্ত কার্যক্রমের আরো উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ নূরুল ইসলাম, কক্সবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জনাব মোঃ বদরুজ্জামান, নেকমের প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ম্যানেজার আব্দুল কাইয়ুম ও কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ।
নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্টের (নেকম) প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ম্যানেজার আব্দুল কাইয়ুম বলেন, কক্সবাজারে ১২টি পয়েন্টে থেকে ডিম সংগ্রহ করা হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত ৬ হাজার কাছিমের ছানা অবমুক্ত করা হয়েছে। পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের প্রতি বছর বিপুল পরিমাণে জলপাই রঙা সামুদ্রিক কাছিম ডিম দিতে আসে। কক্সবাজার বনবিভাগ ও ন্যাকম এর যৌথ ব্যবস্থাপনায় এইসব ডিম দিতে আসা কাছিমের নিরাপত্তা ও বাচ্চা ফোটানোর নিরাপদ পরিবেশ তৈরির জন্য কক্সবাজার শহর থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ১২টির অধিক পয়েন্টে ডিম সংগ্রহ করে তা ফোটানোর জন্য নার্সারি স্থাপন করা হয়। এসব নার্সারিতে প্রায় ২৬ হাজার ৭৭০ টি ডিম সংগ্রহ করে তা ফোটানোর জন্য বিশেষ ধরনের পরিচর্যা ও ব্যবস্থাপনা করা হয়েছে। নেকমের তথ্য মতে, এখন পর্যন্ত ৬০০০ এর অধিক বাচ্চা ফোটানো সম্ভব হয়েছে।
সম্প্রতি একটি জরিপে দেখা গেছে, মাত্র ৩৪টি স্পটে সামুদ্রিক কাছিম ডিম পাড়তে আসছে, যা এক দশক আগেও ছিল ৫২টি। অর্থাৎ হুমকির মুখে রয়েছে সামুদ্রিক কাছিমের ডিমপাড়ার স্থান সমূহ।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply