শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২০ অপরাহ্ন
উখিয়া প্রতিবেদক : উখিয়ার কুতুপালংয়ে জমি বিরোধের জেরে দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত এক নারী দুইদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে; এ নিয়ে ঘটনায় জামায়াত ইসলামীর স্থানীয় ওয়ার্ড আমির সহ উভয়পক্ষের চারজন নিহত হয়েছে।
এদিকে ঘটনায় ভূক্তভোগী উভয়পক্ষ বাদী হয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের হয়েছে। এতে একপক্ষের দায়ের মামলার এজাহারভূক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
উখিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ আরিফ হোছাইন জানিয়েছেন, সোমবার মধ্যরাত দেড়টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ( চমেক ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনায় আহত রওশন আরা নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
নিহত রওশন আরা (৪০) বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের উত্তর ঘুমধুম এলাকার মোহাম্মদ শাহজাহানের স্ত্রী। তিনি সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত আব্দুল মান্নান ও শাহীনা আক্তারের বোন।
এর আগে গত রোববার ( ০৬ এপ্রিল ) ঘটনার দিন নিহত হন, উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের কুতুপালং পশ্চিম পাড়ার নাজির হোছনের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন (৪৫), মোহাম্মদ হোছনের ছেলে আব্দুল মান্নান (৩৬) ও তার বোন শাহিনা আক্তার (৩৮)।
এদের মধ্যে নিহত আব্দুল্লাহ আল মামুন রাজাপালং ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াত ইসলামীর আমির এবং স্থানীয় একটি মসজিদের খতিবের দায়িত্বে ছিলেন।
গত রোববার ( ০৬ এপ্রিল ) সকালে দীর্ঘদিন ধরে জমির সীমানা বিরোধের জেরে আব্দুল্লাহ আল মামুন ও আব্দুল মান্নানের পরিবারের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষ দেশিয় তৈরী অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে হামলা পাল্টা হামলা চালায়। এতে উভয়পক্ষের তিনজন নিহত এবং সাতজন আহত হয়। আহতদের মধ্যে রওশন আরা নামের এক নারী চমেকে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
ঘটনায় গত ৬ এপ্রিল নিহত আব্দুল মান্নানের স্ত্রী সাবিনা আক্তার বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আর ৮ এপ্রিল নিহত আব্দুল্লাহ আল মামুনের স্ত্রী বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৮ জনকে আসামি করে পৃথক আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন।
স্বজনদের বরাতে আরিফ হোছাইন বলেন, উখিয়ার কুতুপালংয়ে জমি বিরোধের জেরে দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত এক নারী আশংকাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে তিনি আইসিইউ’তে চিকিৎসারত অবস্থায় সোমবার মধ্যরাতে মারা যান। মঙ্গলবার সকালে চমেক হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে নিহতের লাশ দাফনকে কেন্দ্র করে যাতে বিবাদমান উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘাতময় পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply