বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
কক্সবাজার সৈকতে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি প্রদর্শিত টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথসহ এবার নাফনদীতে সকল নৌযান চলাচল অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা মংডু নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নাফনদীর মিয়ানমার অংশে নিষেধাজ্ঞা আরাকান আর্মির ; বাংলাদেশ অংশে বিজিবির টহল জোরদা রামু থেকে বন্দুক ও গুলি উদ্ধার হাইকোর্টের আদেশে সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়ির অবৈধ স্থাপনা একদিনের মধ্যে স্বেচ্ছায় সরিয়ে নেয়ার নিদের্শ চকরিয়ায় হামলায় আহতের ১৬ দিন পর কলেজ ছাত্রের মৃত্যু থামছে না ওপারের মুহুর্মুহু বিস্ফোরণের বিকট শব্দ : কাটছে না সীমান্তবাসির আতংকও ‘বাবাকে না পেয়ে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানো সেই শিক্ষার্থীর’ জামিন কক্সবাজার সৈকতে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ‘প্লাস্টিক দানব’ কক্সবাজারে ৫ বছরে এইডস আক্রান্ত ৭৯৩ জন, মারা গেছে ১২০ জন

হাইকোর্টের আদেশে সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়ির অবৈধ স্থাপনা একদিনের মধ্যে স্বেচ্ছায় সরিয়ে নেয়ার নিদের্শ

নিজস্ব প্রতিবেদক: কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ দোকানপাট ও অস্থায়ী স্থাপনা একদিনের মধ্যে স্বেচ্ছায় সরিয়ে নিতে নিদের্শ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

শনিবার বেলা ১২ টায় সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টের বালিয়াড়িতে বসানো ঝিনুক মার্কেটে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করতে গিয়ে কক্সবাজার সদর উপজেলার ইউএনও নিলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী এমন নিদের্শ দেন।

বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়ে এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করতে গিয়ে দোকানের মালিক ও হকারদের নিজ দায়িত্বে মালামাল সরিয়ে নিতে মাইকিং করে আহ্বান জানান ইউএনও।

নিলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী বলেন, হাইকোর্টের আদেশে সৈকতের বালিয়াড়ি থেকে সব ধরণের স্থাপনা সরিয়ে নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ আদেশ অনুযায়ী সৈকতের দখল ছেড়ে দিতে সবাইকে আহবান জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

ব্যবসায়ীরা উচ্ছেদ অভিযানে সহায়তা করছেন জানিয়ে ইউএনও বলেন, তারা ইতোমধ্যে অস্থায়ী স্থাপনা সরিয়ে নিতে কাজ করছে। সৈকতের লাবণী থেকে কলাতলী পর্যন্ত অন্তত ৫০০ অবৈধ স্থাপনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ নিয়ে ঝিনুক ব্যবসায়িসহ সাগরপাড়ের ক্ষুদ্র ব্যবসায়িরা অভিযোগ করে বলেছেন, প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযান ঘিরে তারা বৈষম্যের শিকার। জোয়ার-ভাটায় সাগরের ঢেউয়ের যাতায়ত স্থান থেকে ৩০০ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত কোন স্থাপনা না রাখার নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু ওই দূরত্বে বিভিন্ন সরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের স্থাপনা থাকলেও তা উচ্ছেদে প্রশাসনের কোন তৎপরতা নেই। কিন্তু কোন ধরণের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই প্রতিবারই ক্ষুদ্র ব্যবসায়িদের দোকানগুলো উচ্ছেদ করা হচ্ছে।

উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পূনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ না করার দাবি ব্যবসায়িদের।

গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর কক্সবাজার শহরের সুগন্ধা পয়েন্টের বেলাভূমিতে গড়ে তোলা হয়েছে ২০টি দোকান। এই পয়েন্টের সড়ক, ফুটপাত ও বালিয়াড়িতে বসানো হয়েছে ২০০ ভ্রাম্যমাণ হকার। এর দক্ষিণ পাশে কলাতলী পয়েন্টের ‘সি ক্রাউন হোটেলের’ সামনে তৈরি করা হয়েছে ৫টি দোকান। মেরিন ড্রাইভের ইনানী সৈকতের বেলাভূমিতে অন্তত ৩০টি রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন দোকানপাট নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া দরিয়ানগর, হিমছড়ি, সালসা বিচ, পাটুয়ারটেকসহ বিভিন্ন এলাকায় সরকারি জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে।

সরকার কক্সবাজারের সৈকত এলাকাকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) ঘোষণা করে ১৯৯৯ সালের ১৯ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে। এই গেজেট অনুযায়ী সৈকতের বেলাভূমিতে স্থাপনা নিষিদ্ধ। কিন্তু আইন না মেনে দীর্ঘদিন ধরে স্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত থাকায় ২০১৭ সালে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সমুদ্রসৈকতের জোয়ার-ভাটার মধ্যবর্তী লাইন থেকে প্রথম ৩০০ মিটার ‘নো ডেভেলপমেন্ট জোন’ উল্লেখ করে এ এলাকায় কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না বলে নির্দেশনা দেন উচ্চ আদালত।

সম্প্রতি হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়নের জন্য বেলার পক্ষে নোটিশ দেয়া হলে একদিনের মধ্যে স্বেচ্ছায় সরিয়ে নেয়ার নিদের্শ দেয়া হল।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888