বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৪২ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
কক্সবাজার সৈকতে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি প্রদর্শিত টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথসহ এবার নাফনদীতে সকল নৌযান চলাচল অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা মংডু নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নাফনদীর মিয়ানমার অংশে নিষেধাজ্ঞা আরাকান আর্মির ; বাংলাদেশ অংশে বিজিবির টহল জোরদা রামু থেকে বন্দুক ও গুলি উদ্ধার হাইকোর্টের আদেশে সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়ির অবৈধ স্থাপনা একদিনের মধ্যে স্বেচ্ছায় সরিয়ে নেয়ার নিদের্শ চকরিয়ায় হামলায় আহতের ১৬ দিন পর কলেজ ছাত্রের মৃত্যু থামছে না ওপারের মুহুর্মুহু বিস্ফোরণের বিকট শব্দ : কাটছে না সীমান্তবাসির আতংকও ‘বাবাকে না পেয়ে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানো সেই শিক্ষার্থীর’ জামিন কক্সবাজার সৈকতে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ‘প্লাস্টিক দানব’ কক্সবাজারে ৫ বছরে এইডস আক্রান্ত ৭৯৩ জন, মারা গেছে ১২০ জন

থামছে না ওপারের মুহুর্মুহু বিস্ফোরণের বিকট শব্দ : কাটছে না সীমান্তবাসির আতংকও


নিজস্ব প্রতিবেদক : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরকে কেন্দ্র করে থামছে না মুহুর্মুহু বিস্ফোরণের বিকট শব্দ। আর এই বিকট শব্দের সাথে সাথে কাঁপছে কক্সবাজারের টেকনাফের সীমান্ত এলাকায়। বিস্ফোরণের বিকট শব্দে টেকনাফ পৌর, সদর, সাবরাং ও শাহপরীর দ্বীপ এলাকার বাসিন্দারা ঘুমহীন রাত যাচ্ছে আর কাটছে না আতংকও।

সীমান্ত এলাকার লোকজন জানিয়েছেন, শনিবার ভোররাত চারটা থেকে বেলা ১১ টা পযর্ন্ত একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠল টেকনাফ। ওই সময় মিয়ানমারের আকাশে বিমানের চক্করও দেখা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে মংডু শহর নিয়ন্ত্রণে নেয়া আরাকান আর্মির অবস্থান লক্ষ করে বোমা বর্ষণ করা হচ্ছে বিমান থেকে। এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে শুক্রবার মধ্য রাত পযর্ন্ত টানা বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনতে পেয়েছে সীমান্তের এপারে টেকনাফ পৌর, সদর, সাবরাং ও শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দারা।

সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর হোসেন জানিয়েছেন, মিয়ানমারের মংডু শহরের দক্ষিণ পাশে গ্রামগুলো থেকে এ বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসছে টেকনাফে। মটারশেল, শক্তিশালী গ্রেনেড ও বোমার শব্দে এ পারের বসতবাড়ি কেঁপে উঠছে। সীমান্তের কোনো মানুষ রাতে ঘুমাতেও পারছেননা। বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসার সময় মিয়ানমারের মংডু এলাকায় যুদ্ধবিমানের চক্কর দিতে দেখেছেন বাসিন্দারা।

তিনি বলেন, বিস্ফোরণের বিকট শব্দে সাবরাং এলাকার বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি কেঁপে উঠছে। লোকজন শান্তিতে ঘুমাতে পারছে না। বিশেষ করে, শিশু ও বয়স্কদের নিয়ে খুবই বিপাকে পড়তে হচ্ছে।

সীমান্ত এলাকার লোকজনের দেয়া তথ্য বলছে, মংডু শহরের দক্ষিণে উকিলপাড়া, ফয়েজীপাড়া, সিকদারপাড়া, হারিপাড়া ও ফাতংজা এলাকায় ঘীরে এই তীব্র লড়াই চলছে। প্রায় ১ বছরের বেশি সময় ধরে চলছে এই যুদ্ধে রাখাইন রাজ্যের অধিকাংশ এলাকা এখন আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যেখানে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর পক্ষে এখন আকাশ যোগে হামলা করছে। আর স্থলে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে লাড়ইয়ে নেমেছে রোহিঙ্গাদের কয়েকটি স্বশস্ত্র গোষ্ঠিও।

টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের নয়াপাড়ার বাসিন্দা মো. ইসলাম বলেন, মিয়ানমারের গোলার শব্দে অনেকের এ শীতের রাতে ঘরের বাইরে রাত্রি যাপন করেছেন। একটু পরপরই গোলার শব্দে কেঁপে ওঠে বাড়িঘর।

সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ শরিফ ও শাহপরীর দ্বীপ ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিকট বিস্ফোরণের শব্দে বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888