বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩০ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : গানের সুরে নাচের ছন্দে বর্ণিল শরৎ উৎসব। ষড়ঋতুর বাংলাদেশে এখনো চলছে শরৎকাল। যদিও গত কয়েকদিন ধরে মেঘ-বৃষ্টির খেলায় শরতের প্রকৃত রূপটি যেন ঢাকা পড়েছে। তাই বলে স্নিগ্ধতার প্রতিচ্ছবিময় ঋতুটি বিদায় নেয়নি প্রকৃতি থেকে।
বরং একটু খেয়াল করলেই দেখা যায়, বৃষ্টির ঘনঘটা কমলেই নীল আকাশে ভেসে বেড়াচ্ছে সাদা মেঘের ভেলা। কোনো এক নদীর কিনার কিংবা উন্মুক্ত প্রান্তরে উঁকি দিচ্ছে গুচ্ছ গুচ্ছ কাশফুল। হৃদয়ে ভালোলাগার অনুভব ছড়ানো প্রিয় এই ঋতুর বন্দনায় সরব হলো শনিবারের এই বিকালটি।
সেই সুবাদে শহিদ মিনারে বরণ করে নেওয়া হয় মায়াবি এই ঋতুকে। গানের সুরে, নাচের ছন্দে কিংবা কবিতার শিল্পিত উচ্চারণে প্রকাশিত হলো শরতের প্রতি অপার অনুরাগ। উচ্চারিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী প্রেক্ষাপটে বৈষম্যহীন স্বদেশ গড়ার প্রত্যয়। সময়ের আকাঙ্খাকে ধারণ করে এ উৎসবের আয়োজন করে শরৎ উৎসব উদযাপন পর্ষদ,কক্সবাজার।
তবে প্রতিবছর নির্দিষ্ট সময়ে শরতের এই উৎসব আয়োজন হলেও এ বছর দেশের রাজনৈতিক অস্থির পরিস্থিতির কারণে বিলম্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
শনিবার বিকালে কক্সবাজার কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারে আয়োজিত অনুঠানে অতিথি হিসবে উপস্থিত ছিলেন জেলা খেলাঘরের সভাপতি সুবিমল পাল পান্না, সত্যেন সেন শিল্পীগোঠির সভাপতি খোরশেদ আলম, সাংবাদিক দীপক শর্মা দিপু, শ্রুতি আবৃত্তি অঙ্গনের সভাপতি প্রতিভা দাশসহ অনেকে।
তারা এই অনুষ্ঠানের ভূয়সী প্রশংসা করেন। শরতের শুভ্রতা প্রকৃতি ও মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয়াই এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য বলে জানায় তারা।
সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক মনির মোবারকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে -ধ্রুব তারা, দয়া সংগীত একাডেমী, দরিয়ানগর সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী, শ্রুতি আবৃত্তি অঙ্গনে, আবছার হাব, সৃজন সংগীত একাডেমী, আগন্তক, প্যানোয়া, ম্যাকের মতো সাংষ্কৃতিক সংগঠনগুলি তাদের নাচ, গান ও আবৃত্তি পরিবেশন করেন।
সমবেত জাতীয়সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়া শরৎ উৎসবে একক ও দলীয় গান, নৃত্য ও আবৃত্তি দিয়ে সাজানো হয় অনুষ্ঠান। এই আয়োজনে বাঙালি জাতির সংস্কৃতির নানা দিক ফুটিয়ে তোলা হয়।। একে একে নাচ, গান, আবৃত্তি আর শরৎ কথনের মধ্য দিয়ে শারদীয় আবেশ ফুটিয়ে তোলা হয় দর্শকের মনে। আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে ইতি টানা হয় শরৎ উৎসবের।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply