শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫৪ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
মেরিন ড্রাইভে মোটর সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে বিদেশী নাগরিক নিহত (আপডেট) পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র-গোলা সহ মহেশখালীর বাহিনীর প্রধান জিয়া ও সহযোগী গ্রেপ্তার নাফনদী থেকে ট্রলার সহ ৬ মাঝি অপহরণ নিয়ে ধুম্রজাল ওপারে আবারও মুহুর্মুহু বিস্ফোরণ; এবার আরাকান আর্মির বিপক্ষে স্বশস্ত্র রোহিঙ্গা গোষ্ঠি বিদেশ যেতে ভাইঝিকে অপহরণ, চাচা সহ গ্রেপ্তার ২ রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বিদেশি পিস্তল ও গুলিসহ আটক ৩ এবার রড সিমেন্ট বোঝাই ২ ট্রলার সহ ৬ মাঝিমাল্লাকে ধরে নিয়ে গেছে আরকান আর্মি  টেকনাফে ইয়াবা ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটক ১ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হ্যান্ডগ্রেনেড, দেশিয় বন্দুক ও গুলিসহ আরসা’র সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার টেকনাফে আইস ও ইয়াবা সহ আটক ১

নাফনদীর মোহনায় স্পিডবোট ডুবি : ডায়েরিয়া আক্রান্ত শিশু জীবিত উদ্ধার হলে বাঁচানো যায়নি, সন্ধান মিলেনি নিখোঁজ শিশুটিও

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের পূর্বপাড়ার নুরুল কবিরের মেয়ে মারিয়া (৪) ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত ছিল। যাকে চিকিৎসার প্রয়োজনে সোমবার টেকনাফ আনতে উঠেছিল স্পিডবোট যাত্রা দিয়ে ছিলেন পিতা। কিন্তু স্পিড বোটটি উল্টে যায়। যেখানে উদ্ধার হওয়া ১০ যাত্রীর পর মূমুর্ষ মারিয়াও ছিল। কিন্ত শেষ পর্যন্ত মারিয়াকে বাঁচানো যায়নি। একই সঙ্গে এ ঘটনায় নিখোঁজ স্মৃতি নূর আলিশা (৮) কেও পাওয়া যায়নি।

এছাড়া নিখোঁজ থাকা শিশু স্মৃতি নূর আলিশা (৮) সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের পূর্ব পাড়ার মো. সাদ্দাম হোসেনের মেয়ে।

মঙ্গলবার বিকাল ৫ টায় সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সৈয়দ আলম বলেন, স্পিডবোট ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ আলিশা ও মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করা শিশু মারিয়া দুইজনেই আমার ওয়ার্ডের বাসিন্দা। মারিয়া ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিতে গিয়ে টেকনাফ যাত্রা দিয়েছিল। যেখানে স্পিড বোট ডুবির ঘটনায় মুমুর্ষ উদ্ধার করা হয়। এরপর টেকনাফ হাসপাতালে নেয়া হয়। ওখান থেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। কক্সবাজার নেয়ার পথে সোমবার রাতে মারিয়া মারা গেছে। মঙ্গলবার আসরের নামাজের পর তার জানাজা হয়েছে। দাফন সম্পন্ন হয়েছে। নিখোঁজ আলিশাকেও পাওয়া যায়নি।

আলিশার দাদা মো. ইলিয়াস বলেন, আদরের আলিশার ফেরত পাওয়ার জন্য সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন স্থান ঘুরে বেড়াচ্ছি। কিন্তু কোথাও আলিশাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না

টেকনাফ হাসপাতালে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তাসাল্লি ফয়েজি বলেন, সোমবার স্পিডবোট ডুবির ঘটনায় শিশু মারিয়াকে হাসপাতালে আনা হয়। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রোগীর স্বজনদের কাছে কোন ধরনের টাকা-পয়সা না থাকায় তাদেরকে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু মাঝপথে মারা গেছে বলে শোনা গেছে।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টায় টেকনাফে নাফ নদীর মোহনার গোলগলা পয়েন্টে স্পিড বোটটি উল্টে ডুবি যায়। এসময় স্থানীয় জেলেদের নৌকা ও একটি স্পিডবোট যোগে ভাসমান অবস্থায় ৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হন। তবে দুর্ঘটনা কবলিত স্পিডবোট চালক ও এক শিশু নিখোঁজ ছিল। বিকাল ৪ টার দিকে শাহপরীরদ্বীপের দক্ষিণ মিস্ত্রী পাড়া দিয়ে স্পিডবোট চালক মোহাম্মদ বেলাল সাঁতরে কূলে উঠে আসতে সক্ষম হন। কিন্তু এখনো নিখোঁজ রয়েছে শিশু স্মৃতি নূর আলিশা।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888