শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজারে সমুদ্র সৈকতে দুই নারীকে মারধর ও হেনস্তার ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখে ঘটনায় জড়িত এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
মোহাম্মদ ফারুকুল ইসলাম নামের এই যুবককে শুক্রবার রাতে কক্সবাজার শহরের ভোলা বাবুর পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন এলাকা থেকে আটকের কথা নিশ্চিত করেছেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক জাবেদ মাহমুদ।
আটক ফারুকুল ইসলাম (২৩) ওই এলাকারই বাসিন্দা। তার বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগড়া উপজেলার চুনতি এলাকায়।
ফারুকুল ইসলামকে আটকের বিষয়ে ডিবির পরিদর্শক জাবেদ মাহমুদ বলেন, “সৈকতে নারী পর্যটকদের মারধর ও নির্যাতনের কিছু ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি পুলিশের নজরে আসে।
“পরে পুলিশ ফুটেজগুলো দেখে যুবককে শনাক্ত করা হয়। শুক্রবার রাতে শহরের ভোলা বাবুর পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন এলাকায় সদর থানা ও ডিবি পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।”
ফারুকুল ইসলাম এখন সদর থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন বলে জানান ডিবি পরিদর্শক জাবেদ মাহমুদ।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে দুই নারীকে মারধর ও হয়রানির তিনটি ভিডিও ফুটেজ শুক্রবার সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে দিনভর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান নেটিজেনরা। তারা দাবি করেন, ওই তরুণ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় সমম্বয়ক ফারুকুল ইসলাম। এই পরিচয় দিয়েই তিনি নারীদের ওপর নিপীড়ন চালান।
তবে কক্সবাজারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের দাবি, ফারুকুল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বা নেতৃত্ব পর্যায়ের কেউ নন।
এ বিষয়ে স্থানীয় সমন্বয়ক শাহেদুল ইসলাম শাহেদ বলেন, “আটক যুবক জেলার সমন্বয়ক বা নেতৃত্ব পর্যায়ের কেউ নন। আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি নানা শ্রেণি-পেশা, মত ও পথের মানুষের অংশগ্রহণ ছিল, আটক যুবকেরও অংশগ্রহণ থাকতে পারে। তাই বলে তিনি সমন্বয়ক পরিচয় দেওয়ার এখতিয়ার রাখেন না।”
আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী কেউ যদি স্ব-উদ্যোগে বা সাংগঠনিক প্রক্রিয়া ছাড়া কোনও কর্মসূচি নিয়ে থাকে, তার জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দায়বদ্ধ নয় মন্তব্য করে কক্সবাজারের এ সমন্বয়ক বলেন, “ব্যক্তির দায়ভার সংগঠন নেবে না। ব্যক্তির কর্ম-অপকর্ম ব্যক্তিকেই জবাবদিহি করতে হবে।”
সমুদ্র সৈকতে নারীদের হয়রানির আগে বুধবার এক ভিডিওতে কক্সবাজার শহরের লালদিঘীর পাড় এলাকায় ফারুকুলকে ভাসমান যৌনকর্মীদের লাঠি নিয়ে তাড়িয়ে মারধর করতেও দেখা যায়।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply