শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : মিয়ানমারে সংঘাতময় পরিস্থিতিতে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল বান্দরবানের পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। অবশেষে টানা ২৩ দিন বন্ধের পর সীমান্তের পরিস্থিতি বিবেচনায় স্কুলগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। বুধবার সকালে খোলার প্রথম দিনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর পদচারণায় মুখর ছিল স্কুল প্রাঙ্গণ।
বুধবার সকালে তুমব্রু পশ্চিমকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণি মনিরুল হাসনাত তাসিন বলে, ২৩ বন্ধের পর স্কুল খুলেছে। এখন ক্লাসে এসেছি, ক্লাস করছি। একই সঙ্গে অনেক দিন পর বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয়েছে, কথা হচ্ছে খুবই ভাল লাগছে।
একই স্কুলে ৪র্থ শ্রেণি মো. ইমরান হোসেন ইমু বলে, পড়াশোনার অনেক ক্ষতি হয়েছে। এটা কিভাবে পূরণ হবে জানি না। তারপরও চেষ্টা করছি ভালো করে পড়ালেখা করতে।
তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্র মো. মিজান বলে, স্কুল খুলেছে খুবই খুশি লাগছে। তবে আতংক যাচ্ছে না। কারণ কোন কিছুর শব্দ হলেই মনে হয় মিয়ানমার থেকে গুলি করছে বা গোলাগুলির শব্দ হচ্ছে।
গোলাগুলি ও মর্টারশেলের শব্দ বন্ধ হলেও শিক্ষার্থীদের মধ্যে এখনো কাটেনি আতংক। তবে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি শতভাগ করতে কাজ করা হচ্ছে বলে জানান শিক্ষক ও জনপ্রতিনিধিরা।
তুমব্রু পশ্চিমকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হেলাল উদ্দিন বলেন, মিয়ানমারের সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে টানা ২৩ দিন স্কুল বন্ধ ছিল। এখন স্কুল খুলেছে, শিক্ষার্থীরা আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে। তবে শিক্ষার্থীদের চরম ক্ষতি হয়েছে, কারণ গোলাগুলির কারণে শিক্ষার্থী পাঠবই থেকে বিরত ছিল। এখন নানা উপায়ে এবং অভিভাবকদের সঙ্গে সমন্বয় করে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় এগিয়ে নিতে হবে।
বান্দরবানের ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, টানা ২৩ দিন পর ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলেছে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি শতভাগ হয়নি। অনেকেই এখন স্কুল খুলেছে জানে না এবং অনেকে এখনো বসতিতে ফিরেনি। আশা করি, আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে শিক্ষার্থীরা শতভাগ স্কুলে ফিরবে।
মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহীদের সংঘাতের কারণে গত ৫ ফেব্রæয়ারি ঘুমধুম সীমান্ত এলাকার পাঁচটি স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছিল প্রশাসন। স্কুলগুলো হলো বাইশপারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজা বনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিমকুল তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এসব স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দেড় হাজারের বেশি।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply