শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৫ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজার শহরে সাগর উপকূল দিয়ে পাচারের চেষ্টাকালে ভোজ্যতেল, আটা, চিনি ও রঁসুনসহ বেশ কিছু পরিমান খাদ্যপন্য জব্দ করেছে র্যাব; এসময় পাচারকাজে জড়িত থাকার অভিযোগে তিন পাচারকারিকে আটক করা হয়েছে।
জব্দ করা খাদ্যপণ্যগুলো যুদ্ধ পরিস্থিতিতে থাকা প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে পাচারের জন্য মজুদ করা হয়েছিল বলে দাবি করছে র্যাব।
শনিবার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান, র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।
আটকরা হল- কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম এলাকার মৃত হাসন আলীর ছেলে আবু তাহের (৫০) এবং টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের মৃত মো. শরীফের ছেলে মো. তৈয়ব (২৪)। এছাড়া আটক অপরজন হল, চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কাহারঘোনা এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে কবির আহমদ (৫৩)।
লে. কর্নেল সাজ্জাদ হোসেন বলেন, শুক্রবার মধ্যরাতে কক্সবাজার শহরের মাঝেরঘাট এলাকায় খুরুশকূল ব্রিজের দক্ষিণ পাশে কতিপয় লোকজন যুদ্ধপরিস্থিতিতে থাকা মিয়ানমারে পাচারের জন্য বেশ কিছু পরিমান খাদ্যপন্য মজুদ করার খবরে র্যাবের একটি দল অভিযান চালায়। এতে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে সন্দেহজনক ৪/৫ জন লোক দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। পরে ধাওয়া দিয়ে ৩ জনকে আটক করতে সক্ষম হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। এসময় আটকরা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, মিয়ানমারে পাচারের জন্য তারা বেশ কিছু পরিমান খাদ্যপন্য মজুদ করেছে। পরে তাদের দেওয়া তথ্য মতে, স্থানীয় একটি বাসা থেকে ৫৩ টি বস্তায় ২ হাজার ১২০ লিটার সয়াবিন তেল, ১৭ টি বস্তায় ৮৫০ কেজি আটা, ১৫ টি বস্তায় ৭৫০ কেজি চিনি, ১২ টি বস্তায় ৪৮০ কেজি রঁসুন উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা এসব খাদ্যপন্যের আনুমানিক মূল্য ৬ লাখ টাকার বেশী। “
আটকদের দেওয়া তথ্যের বরাতে র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, মিয়ানমারে সরকারি বাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান সংঘাতের জেরে দেশটির রাখাইন রাজ্যে বেশ কিছু এলাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে পন্য সরবরাহ বন্ধ থাকায় রাজ্যটিতে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। এতে সীমান্তের যুদ্ধপরিস্থিতির মধ্যেও পাচারকারি চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। আর চক্রটির সদস্যরা কক্সবাজার উপকূলবর্তী সাগরের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে খাদ্যপন্য পাচার করে আসছিল।
আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply