শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০২ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : মিয়ানমার অভ্যন্তরে সংঘাতের জেরে শুধু দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্য না। একই সঙ্গে পালিয়ে আসছেন দেশটির সেনাবাহিনীর সদস্য, কাস্টমস কর্মী ও আহত সাধারণ নাগরিকরা।
সর্বশেষ মঙ্গলবার বেলা ১২ টা পর্যন্ত পালিয়ে আসা ২২৯ জন বিজিবির হেফাজতে রয়েছে। যার মধ্যে মঙ্গলবার সকাল ৯ টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের রহমতবিল সীমান্ত দিয়ে এই ১১৪ জন এবং ঘুমধুম, টেকনাফের সীমান্ত দিয়ে আরও ২ জন পালিয়ে আসে।
মঙ্গলবার বেলা ১২ টার দিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন, সর্বশেষ তথ্য মতে ২২৯ জন আশ্রয় নিয়েছেন। যেখানে পালংখালী সীমান্ত দিয়ে এসেছে ১১৪ জন। এখানে শুধু বিজিপি সদস্য না। সেনা বাহিনীর সদস্য, কাস্টমস সদস্য ও আহত মিয়ানমারের সাধারণ নাগরিক রয়েছে। এ মূহুর্তে কতজন আহত রয়েছে বলা যাচ্ছে না। বিজিবি এদের হেফাজতে নিয়ে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নিচ্ছে।
পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাত অনেক তীব্রতর হয়ে উঠেছে। বিস্ফোরণের শব্দে কাঁপছে সীমান্ত এলাকা এ পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সকালে রহমত বিল সীমান্ত দিয়ে একে একে ১১৪ জন বিজিপি সদস্য পালিয়ে এসে বিজিবির কাছে আশ্রয় নিয়েছে। বিজিবি সদস্যরা এদের অস্ত্র, গোলাবারুদ জমা নিয়ে ফাঁড়িতে রেখেছেন। ওখানে কেউ আহত আছে কিনা তিনি জানেন না।
এদিকে আশ্রয় নেয়া বিজিবির সদস্যদের মধ্যে অনেকেই আহত রয়েছেন। তাদের বিজিবির তত্বাবধানে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে এ পর্যন্ত ৯ জনকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৪ জনকে সোমবার রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) মো. আশিকুর রহমান।
এর আগে সোমবার বেলা ১১ টার দিকে মিয়ানমার থেকে টেকনাফের উলুবনিয়া সীমান্তে দিয়ে ৫ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। যাদের পরে মিয়ানমানে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এছাড়া সোমবার রাতে ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের ৮ নাগরিক অনুপ্রবেশ করেছে। যাদেরও বিজিবি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এ পর্যন্ত বিজিবির পক্ষে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply