শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১৪ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : মিয়ানমারের সংঘাতের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্যদের ফেরত পাঠানো বিষয়টি স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে উর্ধ্বতন মহলের আলোচনা চলছে। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত পাওয়ার পরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোরশেদ আলম গণমাধ্যমকর্মিরদের এসব কথা বলেছেন।
সোমবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে ঘুমধুম সীমান্তবর্তী বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সড়কে গণমাধ্যমকর্মিদের সাথে কথা বলেন তিনি।
এসময় কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার বলেন, মিয়ানমারের ছোড়া মর্টার শেলে ২ নাগরিক নিহতের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে সংঘাত পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বিজিবি। এরই মধ্যে সীমান্ত এলাকায় অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোরশেদ আলম বলেন, কয়েকদিন আগে উখিয়ার পালংখালী সীমান্তের অভ্যন্তরে কয়েকটি মর্টাল শেল এসে পড়ে। এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তারপরও বিজিবি বিষয়টি নিয়ে মিয়ানমার বিজিপির কাছে প্রতিবাদ লিপি পাঠায়। একই সঙ্গে সীমান্তে বিজিবির সর্তকাবস্থা সম্পর্কে অবহিত করেছি। পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করার পাশাপাশি গত শনিবার রাত থেকে তুমব্রæ, বাইশফাড়ি, ঘুমধুম এলাকায় আরকার আর্মি এবং বিজিপির মধ্যে সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করে। এ পরিস্থিতিতে সীমান্তে বিজিবির সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি কঠোর সর্তক অবস্থান নেয়া হয়েছে। এতে বিজিবি সফল হয়েছে।
তিনি বলেন, রবিবার সকালে হঠাৎ করে বিজিপি সদস্যরা সংঘর্ষের কারণে প্রাণ রক্ষায় বাংলাদেশে পালিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। এর প্রেক্ষিতে বিষয়টি বিজিবির উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবহিত করে নিদের্শনা মতে বিজিপি সদস্যদের অনুপ্রবেশের সুযোগ দেয়া হয় এবং এদের অস্ত্র জমা নিয়ে বিজিবি হেফাজতে আনা হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৯৫ জন বিজিপি সদস্য আশ্রয় নেয়ার তথ্য জানিয়েছে বিজিবির রিজিয়ন কমান্ডার বলেন, এদের খাবার এবং নিরাপদে থাকার ব্যবস্থা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। এখনও ৭ জন সদস্য চিকিৎসাধিন রয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় কাজ করছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নিদের্শনা পাওয়ার পর বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানোর বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
সোমবার দুপুরে মর্টার শেলের আঘাতে ২ জন স্থানীয় বাসিন্দা নিহত হওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক মন্তব্য করে তিনি বলেন, তৎক্ষণিকভাবে বিজিপির কাছে কঠোর প্রতিবাদ লিপি পাঠানো হয়েছে। এ পর্যন্ত সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গা সহ কোন গোষ্ঠি যাতে অনুপ্রবেশ করতে না পারে তার জন্য সর্বোচ্চ সর্তক রয়েছে বিজিবি।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply