শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০৮ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিবেদক : কক্সবাজারের ৪ টি সংসদীয় আসনের ৫৫৬ টি কেন্দ্রে ৩৩ ধরণের সরঞ্জাম সহ ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা শনিবার সকাল থেকে কেন্দ্রে যেতে শুরু করেছে। শনিবার বিকালের মধ্যে এসব কর্মকর্তারা সরঞ্জাম ও কেন্দ্রের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ-আনসার সদস্যদের নিয়ে পৌঁছে যাবে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহিন ইমরান।
তিনি জানিয়েছেন, রবিবার ভোরে সকল কেন্দ্রে ব্যালেট পেপার পৌঁছানো হবে।
কক্সবাজার জেলা রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, কক্সবাজারের ৪ টি আসনের ৫৫৬ টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের কাজে মোট ১১ হাজার ৭১ জন কর্মকর্তা থাকবেন। এসব কর্মকর্তারা শনিবার সকালে জেলার ৯ জন সহকারি রিটানিং কর্মকর্তা বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে সরঞ্জাম বুঝে কেন্দ্রে গেছেন। জেলার ৪ টি আসনে ৩৮ জন ম্যাজিষ্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।
এসব কেন্দ্রে আইন শৃঙ্খলা-বাহিনীর ৫ হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম।
তিনি জানিয়েছেন, প্রতিটি কেন্দ্রে ১৭ শতের কাছা-কাছি পুলিশ আনসার দায়িত্ব পালন করছেন। এর সাথে বিজিবি-র্যাব, উপক‚লীয় এলাকায় নৌ-বাহিনী ও অন্যান্য উপজেলায় সেনা বাহিনী রয়েছেন। তাদের সংখ্যা আড়াই হাজারের বেশি।
কক্সবাজার জেলা রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, কক্সবাজার জেলায় ৪ টি আসনে ৫৫৬ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ৩ হাজার ৫০৫ জন সহকারি প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ৭ হাজার ১০ জন পোলিং কর্মকর্তা ভোট গ্রহণের দায়িত্ব পালন করছেন।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহিন ইমরান জানান, ভোট কেন্দ্র দখল, ব্যালট ছিনতাই কিংবা কোনো ধরনের গোলযোগের সুযোগ কাউকে দেওয়া হবে না। নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে ও উৎসবমুখর করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এবারে কক্সবাজারের চার সংসদীয় আসনে মোট প্রাথী ২৬ জন। প্রাথীদের মধ্যে কক্সবাজার-১ (পেকুয়া-চকরিয়া) আসনে সাতজন, কক্সবাজার-২ (কুতুবদিয়া-মহেশখালী) আসনে ছয়জন, কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসনে ছয়জন এবং কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন।
কক্সবাজারের চারটি আসনের ৫৫৬টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৯০ শতাংশই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বা অতি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। বিশেষ করে দ্বীপ উপজেলা মহেশখালী ও কুতুবদিয়া নিয়ে গঠিত কক্সবাজার-২ আসনে শতভাগ কেন্দ্রই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের তথ্য মতে, চারটি আসনে মোট ভোটার ১৬ লাখ ৫০ হাজার ৯৬০ জন। কক্সবাজার-১ আসনে মোট ভোটার রয়েছেন ৪ লাখ ৮৬ হাজার ২৫২ জন। ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১৫৮টি। এর মধ্যে পেকুয়া উপজেলায় ভোট কেন্দ্র রয়েছে ৪৪টি। যার মধ্যে ২২টিকে ‘অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ ও বাকি ২২টিকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। চকরিয়া উপজেলায় ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১১৪টি। এর মধ্যে ৯৬টিকে ‘অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ ও ১৮টিকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনে ভোটার রয়েছেন ৩ লাখ ৪৮ হাজার ১৩৮ জন। ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১১৮টি। এর মধ্যে মহেশখালীর ৮১টি ভোটকেন্দ্রের সবকটি কেন্দ্রকে ‘অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ ও কুতুবদিয়া উপজেলার ৩৭টি কেন্দ্রের সবকটিকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসনে ভোটার রয়েছেন চার লাখ ৮৯ হাজার ৬১০ জন। ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১৬৭টি। এর মধ্যে রামুতে ৬৪টি, কক্সবাজার সদরে ৭৬টি ও নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলায় রয়েছে ৩৬টি ভোটকেন্দ্র। এসব ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৯০ শতাংশ ভোটকেন্দ্রকেই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে ভোটার রয়েছেন তিন লাখ ২৬ হাজার ৯৭১ জন। ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১০৪টি। এর মধ্যে টেকনাফের ৫৭টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৪টিকে ‘অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ ও উখিয়ার ৪৭টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৪টিকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply