শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৪৫ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
আন্তর্জাতিকভাবে পুরস্কার পেল সায়মন বিচ রিসোর্ট ও সায়মন হেরিটেজ টেকনাফে ৫ কোটি টাকার মূল্যের ১ কেজি আইসসহ গ্রেপ্তার ১ পেকুয়ায় শহীদ ওয়াসিমের কবর জিয়ারত ও পরিবারের সাথে সাক্ষাত করলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রিয় নেতৃবৃন্দ ইনানী সৈকতে গোসলে নেমে পর্যটকের মৃত্যু নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ ও নিরাপদ পর্যটনের জন্য ‘সমুদ্র সন্ধ্যা’ রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে জি থ্রি রাইফেল সহ আরসা কমান্ডার আটক টেকনাফের পাহাড়ে জেল ফেরত যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার টেকনাফে ৭ লাখ টাকা মালামাল নিলামে সর্বোচ্চ ডাককারি স্থল বন্দরের বিশিষ্ট আমদানি ও রপ্তানি কারক সিআইপি ওমর ফারুক টেকনাফের নিকটবর্তী মিয়ানমারের ‘লালদিয়া’ নিয়ন্ত্রণে তীব্র সংঘাত : গুলি আসছে স্থলবন্দর ও আশে-পাশের এলাকায় কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার

সৈকতে ৫ পর্যটক ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৩ রোহিঙ্গা গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্ট সংলগ্ন ‘পর্যটন ছাতা মার্কেটে’ পাঁচ পর্যটককে সংঘবদ্ধ ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত তিন ছিনতাইকারি রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি) মো. আপেল মাহমুদ জানান, শুক্রবার গভীর রাতে কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার আসামিরা হল- উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-ব্লকের বাসিন্দা হামিদ হোছেনের ছেলে মো. নুর কামাল (১৯) এবং একই এলাকার মো. বশিরের ছেলে মো. ফারুক (২০) ও নুরুল কবিরের ছেলে মো. নুরুল ইসলাম (১৯)।

ছিনতাইয়ের শিকার পর্যটকরা হল, কুমিল্লা শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের ডিসামন এলাকার মোমিন মিয়ার ছেলে আসিফ মিয়া (২২) এবং একই এলাকার তার বন্ধু মো. সায়মন (১৮), মো. সুমন (৩৯), মো. হৃদয় (২০) ও মো. ইয়াছিন (৩৩)।

পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে কুমিল্লা থেকে বাস যোগে ৫ বন্ধু মিলে কক্সবাজার বেড়াতে পৌঁছান। তারা বাস থেকে নেমে হিমেল হাওয়ার পরশ নিতে লাবণী পয়েন্ট সমুদ্র সৈকতে যান। পথিমধ্যে লাবণী পয়েন্ট সংলগ্ন পর্যটন ছাতা মার্কেট এলাকায় পৌঁছালে ৪/৫ জনের একদল ছিনতাইকারি তাদের গতিরোধ করেন। পরে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে পর্যটকদের কাছ থেকে ছিনতাইকারিরা মানিব্যাগ ও মোবাইলসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মালামাল ছিনিয়ে যায় ছিনতাইকারিরা।

এডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, শুক্রবার সকালে ঘটনার পরপরই ভূক্তভোগী পর্যটকরা সৈকতে কর্তব্যরত ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্যদের কাছে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেন। পরে পুলিশ ঘটনাটি অবহিত হওয়ার পরপরই জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে। ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার সহ নানাভাবে তৎপরতা চালায়। এতে তাদের চিহ্নিত করতে পুলিশ সক্ষম হয়। শুক্রবার গভীর রাতের এক পর্যায়ে পুলিশ শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে নুর কামাল ও মো. নুরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের স্বীকারাক্তি মতে পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে মো. ফারুক নামের আরেকজন রোহিঙ্গা ছিনতাইকারিকে গ্রেপ্তার করেছে।”

অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক বলেন, “ গ্রেপ্তাররা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় জড়িত থাকার ব্যাপারে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। ঘটনায় চারজন রোহিঙ্গা যুবক ছিল ছিনতাইয়ে জড়িত ছিল। ঘটনায় জড়িত অপর রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।”

গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করে কক্সবাজার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান আপেল মাহমুদ।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888