শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৪ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : চকরিয়া উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমানকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ১৫। র্যাব জানিয়েছেন, রাজধানীর নয়াপল্টন নৈরাজ্য ও নাশকতা এবং হামলার ঘটনায়ং সরাসরি অংশগ্রহণকারী নোমান। ওই দিন ঢাকায় হামলা-ভাংচুরে আহতও হয় নোমান। ভারতের শিলং এ অবস্থানরত সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমেদের নিদের্শে ঢাকা ছাড়াও কক্সবাজার শহরে নাশকতায় জড়িত হয় এই নোমান।
রবিবার দুপুরে কক্সবাজার শহরের কলাতলী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আবদুল্লাহ আল নোমান চকরিয়া উপজেলার ফাসিয়াখালি ইউনিয়নস্থ নতুন পাড়া এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নসহ বিভিন্ন স্থানে নাশকতার অপরাধে সংশ্লিষ্ট থাকার বিষয়ে ৪টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাব ১৫ এর সিনিয়র সহকারি পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী।
তিনি জানিয়েছেন, গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে অংশগ্রহণের জন্য নোমান স্থানীয় নেতাকর্মীদের সংগঠিত করে। এছাড়া সে বিএনপির কেন্দ্রীয় পর্যায়ের দেশ ও বিদেশে অবস্থানরত নেতাদের সাথে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপের সাহায্যে যোগাযোগ করে তাদের নির্দেশনায় নাশকতার পরিকল্পনা করে এবং সে অনুযায়ী নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ২৮ অক্টোবরে নয়াপল্টনে জ্বালাও-পোড়াও, পুলিশ হাসপাতালে হামলা-অগ্নিসংযোগ, যানবাহন ভাঙচুরসহ পুলিশের উপর আক্রমণে অংশ নেন। একপর্যায়ে তার সঙ্গীয় ব্যক্তিদের ছোঁড়া হাতবোমা বিস্ফোরিত হয়ে তার মাথার পেছনের অংশে ৪টি স্প্রিন্টার বিদ্ধ হলে সে রক্তাক্ত ও আহত হয়। পরবর্তীতে কক্সবাজার ফিরে স্থানীয় ফুয়াদ আল খতিব হাসপাতালে সে চিকিৎসা গ্রহণ করে। বিভিন্ন মিডিয়াতে সেদিন তার নাশকতামূলক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ ও নিজেদের বোমায় রক্তাক্ত ও আহত হওয়ার ফুটেজ পাওয়া যায়। এর সূত্র ধরেই নোমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, গত ২৯ অক্টোবর থেকে অদ্যাবধি কক্সবাজার শহরে যেসব নাশকতামূলক কর্মকান্ড সংগঠিত হয়েছে, আব্দুল্লাহ আল নোমান সেগুলোতেও উপস্থিত থেকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। গ্রেফতারকৃত নোমানকে জিজ্ঞাসাবাদে সে আরো জানায় যে, আন্দোলনে করণীয় সম্পর্কে নির্দেশনা নিতে চলতি বছরের মার্চ মাসে ভারতের শিলং এ অবস্থানরত চকরিয়ার বিএনপির দলীয় সাবেক এক সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীর নিকট গমন করে। মূলত ঐ সাবেক সংসদ সদস্যের নির্দেশনাতেই সে এবং তার সঙ্গীয় নেতাকর্মীরা ঢাকা ও কক্সবাজারে চলমান জ্বালাও-পোড়াও, নাশকতা ও পুলিশের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
নোমানকে কক্সবাজার সদর থানার পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply