বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৭ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
টেকনাফ ছাড়াও এবার নতুন করে উখিয়া-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ভেসে আসছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ চকরিয়ায় জেলা পরিষদের জমিতে নির্মিত আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটি গঠণ সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে কক্সবাজার শহরে এসে সেন্টমার্টিন দ্বীপবাসির সড়ক অবরোধ পাহাড়ী আস্তানা থেকে মালয়েশিয়া পাচারকালে শিশুসহ ৩১ জন উদ্ধার, দুই দালাল আটক সাবের মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর পিএস ফিরোজ কক্সবাজারে গ্রেপ্তার মিয়ানমারের বাঘগুনা খালের পাশে রয়েছে নিমার্ণ সামগ্রী ও দুইটি ট্রলার, মাঝি-মাল্লা সহ ১১ জনের হদিস নেই মিয়ানমারের উপজাতি সম্প্রদায়ের ৬৫ নাগরিকের অনুপ্রবেশ চকরিয়ায় কিশোরকে ছুরিকাঘাত : আটক ৪ চকরিয়ায় ফেরিওয়ালার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ইয়াবার মামলায় অভিযোগপত্র থেকে বাদ যেতে মরিয়া ‘কালাম’

নিজস্ব প্রতিবেদক: টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের পানছড়ি গ্রামের অলি আহমদের পুত্র মো: আবুল কালাম। ইয়াবা কারবার করে এখন কোটিপতি। দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা কারবার করে আসলেও রয়েছে বহাল তবিয়তে। তবে তার বিরুদ্ধে টেকনাফ, চট্রগ্রাম, ঢাকা সহ বিভিন্ন থানায় বহু মামলা রয়েছে। টেকনাফ থানা, চট্রগ্রামের পতেঙ্গা মডেল থানা, কোতুয়ালী থানা, ঢাকার মিরপুর মডেল থানা, যাত্রাবাড়ী থানায় তার বিরুদ্ধে (ইয়াবা) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বহু মামলা রয়েছে। এ ছাড়াও টেকনাফ থানায় বিভিন্ন অপরাধেও মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এমনকি তার বাড়ী থেকেও ইয়াবা উদ্ধার করেছে র‌্যাব। এর পরেও তার ইয়াবা কারবার বন্ধ হয়নি। বরং মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে র‌্যাব করা ইয়াবা উদ্ধার মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) থেকে তার নাম বাদ দেয়ার তদবির চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি এর জন্য পুলিশের তদন্তকারি কর্মকর্তাকে মোটা অংকের টাকা প্রদানের কথা বলে বেড়াচ্ছে কালাস নিজেই।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত ৭ সেপ্টেম্বর আবুল কালামের বাড়ী থেকে ৬০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করে র‌্যাব। এ সময় মো. আব্দুল্লাহ ও মো. আলীকে আটক করলেও পালিয়ে যায় বাড়ীর মালিক আবুল কালাম। টেকনাফ থানায় র‌্যাবের দায়ের করা ওই মামলায় ৩ নং আসামী আবুল কালাম। এই মামলাটি তদন্ত করছে টেকনাফ থানার পুলিশ। অভিযোগ উঠেছে তদন্তকারি কর্মকর্তাকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে এ মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে পুলিশ কর্মকর্তাও ম্যানেজ হয়ে গেছে।

টেকনাফ সীমান্ত ছাড়াও ঢাকা, চট্রগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ইয়াবা কারবারে তার সিন্ডিকেট রয়েছে। এ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন এলাকায় চাহিদামত ইয়াবা সরবরাহ করে আসছে এ আবুল কালাম।

টেকনাফ থানায় র‌্যাবের দায়ের করা মামলা ছাড়াও তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে চট্রগ্রামের পতেঙ্গা মডেল থানার এফআইআর নং-২৩/২২৩, তাং- ৩০ নভেম্বর ২০১৬, চট্রগ্রামের কোতুয়ালী থানার এফআইআর নং-৬৯/১০০৮, তাং-২২ ডিসেম্বর ২০১৭, ঢাকার মিরপুর মডেল থানার এফআইআর নং-৫১/২৮২, তাং-২৩ এপ্রিল ২০১৯, ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার এফআইআর নং-৬০/৭৭৯, তাং-১৩ জুলাই ২০১৯, টেকনাফ থানার এফআইআর নং-১৬/৪০৪, তাং-০৪ মে ২০১৭। এ ছাড়াও টেকনাফ থানার জিআর নং-১০১, তাং-১১ এপ্রিল ২০০৮ সহ বিভিন্ন অপরাধে মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

বিষয়টি নিয়ে তদন্তকারি কর্মকর্তা টেকনাফ মডেল থানার উপ পরিদর্শক মোহাম্মদ গোলাম হক্কানির ফোন নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888