বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৭ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : ঘূর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডবে উপড়ে পড়েছে শত শত ঝাউগাছ। এসব ঝাউগাছ উপড়ে পড়ে বিধ্বস্ত করেছে মানুষের ঘর। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী দুদিনেও এসব ঝাউগাছ কেউ না সরালে শেষ পর্যন্ত দুর্গত মানুষরা সরানোর কাজ শুরু করে। কিন্তু এই ঝাউগাছগুলো কেটে সরানোর সময় বনবিভাগের কর্মীদের মারধরে ৫ জন নারী-পুরুষ আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টায় কক্সবাজার পৌরসভার ০১ নং ওয়ার্ডস্থ বাগানপাড়ায় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন বাগানপাড়া এলাকার নুরুল হকের ছেলে নুর আলম (২২), নজির আহমদের ছেলে রহিম (২৭), দিল মোহাম্মদের ছেলে নুর আলম (৩৫), দিলদার বেগম (৩২), শফিকা আকতার (২৫)।
নুর আলম (২৪) বলেন, ঘূর্ণিঝড় হামুনের তান্ডবে প্রতিটি ঘরে ৪ থেকে ৫টি ঝাউগাছ উপড়ে পড়েছে। বুধবার সারাদিন অপেক্ষা করেছি, জনপ্রতিনিধিকেও বলেছি। কিন্তু কেউ আসেনি এসব ঝাউগাছ সরানো জন্য। তাই বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার নিজেরা অর্থ সংগ্রহ করে মেশিন কিনে ঘরের ওপর উপড়ে পড়া ঝাউগাছগুলো কেটে সরানোর কাজ করছিলাম কয়েকজন মিলে। কিন্তু হঠাৎ বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পোষাকধারি বনবিভাগের ৪ জনসহ মোট ৭ ব্যক্তি কোন কিছু বলেই লাঠি দিয়ে আঘাত করা শুরু করে। এরপর অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজের পাশাপাশি লাঠি দিয়ে এলাকার লোকজনকে আঘাত করতে শুরু করে। এক পর্যায়ে গাছ কাটার মেশিনটি কেড়ে নেয়।
মোহাম্মদ বেলাল হোসেন বলেন, সমিতি পাড়ার বাগান পাড়ায় ২২০টি পরিবার বসবাস করে। এখানে প্রতিটি ঘরে ৪টি অধিক ঝাউগাছ উপড়ে পড়েছে। এতে ঘর ভেঙ্গে যাওয়ার পাশাপাশি মানুষজনের স্বাভাবিক চলাচল করা যাচ্ছে না। একই সঙ্গে বিদ্যুতের তারও ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। তাই বাধ্য গাছগুলো কেটে সরানো হয়। কিন্তু হোঁট করে বনবিভাগের এমন আচরণ কোনভাবে কাম্য নয়। বিষয়টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর, পৌরসভার মেয়র মো: মাহাবুবুর রহমান ও বনবিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে।
এব্যাপারে পৌরসভার মেয়র মো: মাহাবুবুর রহমান বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। বনবিভাগ এসব গাছ কেটে সরানো কথা। তা করেনি ২ দিন ধরে। কিন্তু দূর্গত মানুষ নিজের ঘর উপর থাকা গাছ কেটে সরাতে গিয়ে মারধরে শিকার হওয়া দুঃখজনক। বিষয়টি বনবিভাগের কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি।
কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো: সারওয়ার আলম বলেন, বিষয়টি শুনেছেন। এব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply