মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৮ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তার কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি সামান্য উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকাল ৫-৬টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে– এমন আশঙ্কা করছেন ভারত ও বাংলাদেশের আবহাওয়াবিদরা। এজন্য দেশের চার সমুদ্রবন্দরকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তিন নম্বর সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড়টি তেমন ভয়ংকর হবে না বলেও আশ্বস্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ষষ্ঠ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গভীর নিম্নচাপটি সোমবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৫৫ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭১০ কিলোমিটার, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৩০ কিলোমিটার এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘’গভীর নিম্নচাপটি আজ সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এটির নাম হবে ‘হানুম’। তবে এটির আঘাত তেমন ভয়ংকর হবে না।’’
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, গভীর নিম্নচাপটি কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ৫০ কিলোমিটার। যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া আকারে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। এজন্য দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরকে এক নম্বর সতর্কসংকেত নামিয়ে তিন নম্বর সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। তা ছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাফেরা করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সোমবার সকাল ৯টা থেকে পবরর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায়, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। তা ছাড়া দেশের দক্ষিণাঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি, অথবা মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply