শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৪ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
টেকনাফ ছাড়াও এবার নতুন করে উখিয়া-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ভেসে আসছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ চকরিয়ায় জেলা পরিষদের জমিতে নির্মিত আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটি গঠণ সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে কক্সবাজার শহরে এসে সেন্টমার্টিন দ্বীপবাসির সড়ক অবরোধ পাহাড়ী আস্তানা থেকে মালয়েশিয়া পাচারকালে শিশুসহ ৩১ জন উদ্ধার, দুই দালাল আটক সাবের মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর পিএস ফিরোজ কক্সবাজারে গ্রেপ্তার মিয়ানমারের বাঘগুনা খালের পাশে রয়েছে নিমার্ণ সামগ্রী ও দুইটি ট্রলার, মাঝি-মাল্লা সহ ১১ জনের হদিস নেই মিয়ানমারের উপজাতি সম্প্রদায়ের ৬৫ নাগরিকের অনুপ্রবেশ চকরিয়ায় কিশোরকে ছুরিকাঘাত : আটক ৪ চকরিয়ায় ফেরিওয়ালার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

পাহাড় চূড়ায় ভাসছে ‘জাহাজ’

মোঃ সাইদুজ্জামান সাঈদ : দূর থেকে দেখলে মনে হবে পাহাড়ে ভাসছে সমুদ্রগামী জাহাজ। সেই জাহাজের চার ধারে সবুজ প্রকৃতি, হরেক রঙের ফুল, রয়েছে শিশুপার্কও। এই জানা অজানা মানুষ সারাদিন ঘুরে বেড়ান, রয়েছে রাতযাপনেরও ব্যবস্থা। চট্টগ্রাম-কক্সাবাজার মহাসড়কের পাশে রামু উপজেলার রশিদনগরের সানী আল গড়ে তোলা অপরূপ পর্যটনকেন্দ্র ‘স্বপ্নতরী পার্ক’ পর্যটননগরী কক্সবাজারের নতুন আকর্ষণ হয়ে উঠেছে। পাহাড়চূড়োয় সমুদ্রগামী এই জাহাজে অনেকে খুঁজে ফেরেন রামু ইতিহাস-ঐতিহ্য। রামু নামের উৎপত্তির কথা। সপ্তম শতাব্দীতে আরব বণিকেরা ব্যবসার উ সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়েন। তাতে কিছু ব্যবসায়ী মারা যান আর বাকিরা ভীরে আনেন এবং রহম- রহম” বলে স্থানীয়দের কাছে আশ্রয় চান। সেই ‘দহন’ বলা শব্দ থেকেই নাকি রামুর নামকরণ হয়েছে। দেখে মনে হয় সপ্তম শতাব্দীর আরব বণিকের দুর্ঘটনার পতিত জাহাজটিই যেন রামুর ওই পাহাড়ে আটকে আছে।

সমুদ্রগামী জাহাজটি সেই জাহাজের চার ধারে সবুজ তিনি আরও বলেন, রশিদনগরের ওই জায়গাটি একসময় ডাকাতিসহ নানা অপরাধ কর্মকান্তের অভয়ারণ্য ছিল। অপরাধ কর্মকান্ত বন্ধ করতে এবং পর্যটন খাতে কক্সবাজারকে আরও এগিয়ে নিতে ২০২২ সালের ৬ আগস্ট সমুদ্রগামী জাহাজের আদলে তরী নির্মাণ করা হয়। ৭৫ ফুট দীর্ঘ চারতলা ইট-পাথরে গড়া স্বপ্নতরী আছে।

এই ইতিহাস নিয়ে অনেকের দ্বিমত থাকলেও নতুন পর্যটনকেন্দ্র স্বপ্নতরী ও শিশুপার্ক যে করাবাজারের পর্যটনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। রশিদনগর ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রাম এলাকায় ২ দশমিক ৭২ একর পাহাড়শ্রেণি জায়গায় গড়ে তোলা হয়েছে স্বপ্নতরী পার্ক। প্রবেশ টিকিট জনপ্রতি ১০ টাকা। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে পার্কটি।

পর্যটনকেন্দ্র স্বপ্নতরী পার্ক-এর উদ্যোক্তা সাবেক রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা জানান, তাঁর সময়ে পাহাড়টির মাটি কেটে, গাছগাছালি নিঃশেষ করে দেয় স্থানীয় দুর্বৃত্তরা। অভিযানে গিয়ে পাহাড়টি রক্ষায় পার্ক গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেন তিনি। স্বপ্নতরী তরী পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পর্যটন ব্যবসায়ী পার্ক সরকারি অনুমোদিত কোনো প্রকল্প নয়। স্থানীয় বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত টাকায় এটি বাস্তবায়ন করা দূর থেকে দেখলে মনে হবে পাহাড়চূড়োয় ভাসছে হয়েছে।

প্রকৃতি, হরেক রঙের ফুল। রয়েছে শিশুপার্কও। এই জাহাজে নানা বয়সী মানুষ সারাদিন ঘুরে বেড়ান, রয়েছে রাতযাপনেরও ব্যবস্থা। চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে রামু উপজেলার রশিদনগরের সমুদ্রগামী জাহাজের আদলে গড়ে তোলা অপরূপ পর্যটনকেন্দ্র “স্বপ্নতরী” পর্যটননগরী কক্সবাজারের নতুন আকর্ষণ হয়ে উঠেছে। পাহাড়চূড়োয় সমুদ্রগামী এই জাহাজে রয়েছে নোঙর, চিমনি। সেই চিমনি থেকে জাহাজে অনেকে খুঁজে ফেরেন রামুর ইতিহাস-ঐতিহ্য। রামু নামের উৎপত্তির কথা। সপ্তম শতাব্দীতে আরব বণিকেরা ব্যবসার উদ্দেশ্যে এ তাঞ্চলে আসার সময় সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়েন। তাতে কিছু ব্যবসায়ী মারা যান আর বাকিরা তীরে আশ্রয় নেন এবং রহম- রহম’ বলে স্থানীয়দের কাছে আশ্রয় চান। সেই ‘রহম’ বলা শব্দ থেকেই নাকি রামুর নামকরণ হয়েছে। দেখে মনে হ্যা সপ্তম শতাব্দীর আরব বণিকের দুর্ঘটনায় পতিত জাহাজটিই যেন রামুর এই পাহাড়ে আটকে চালু করা হবে, নাগরদোলা, ট্রেন, চরকি ও দৃষ্টিনন্দন জলাধার (করনা)।

স্বপ্নতরী পার্ক ঘিরে এই এলাকাকে পর্যটকমুখী করতে নানা উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন রামু উপজেলার বর্তমান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা মুস্তফা। তিনি বলেন, কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত দেখতে আসা পর্যটকরা বৌদ্ধ পুরাকীর্তির শহর রামুতে এসে বৌদ্ধ বিহার ও স্বপ্নতরী পার্ক দেখে তৃপ্ত হবেন। স্বপ্নতরী পার্কে পাহাড়ের চূড়োয় সমুদ্রগামী জাহাজ দেখে অন্যরকম আনন্দ পাবেন যথারীতি ধোয়াও বের হয়। জাহাজে স্টিয়ারিং, লাইটিং, করা, শিকলসহ বিপদের সময় ব্যবহারের ডিঙি নৌকাও আছে। পর্যটকদের থাকার জন্য নিচতলায় দুটি, তৃতীয় তলায় দুটি ও চতুর্থ তলায় একটি শয়নকক্ষ এবং দ্বিতীয় তলায় একটি কনফারেন্স কক্ষ রয়েছে। দূর থেকে তারা। স্বপ্নতরী দেখে মনে হ্যা, পাহাড়ের চূড়ায় ভাসছে সমুদ্রের বিশাল জাহাজ। এর অনন্য নির্মাণশৈলী নার কাড়ে পর্যটকদের। স্বপ্নতরী পার্ককে শিশুদের বিনোদনকেন্দ্রে রূপান্তরিত করতে চায় পার্কের ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত পর্যটনবান্ধব প্রতিষ্ঠান আরজে এন্টারপ্রাইজ।

এ প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুমেল আহমেদ জানান, ৯ মাস পূর্বে ২০ বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক রামু উপজেলা প্রশাসন থেকে স্বপ্নতরী পার্ক লিজ নিয়েছে তারা। সৌন্দর্য বাড়ানোসহ শিশুদের মন্তব্য করেন তিনি। বিনোদনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের আশা এ পার্ক কক্সবাজারের পর্যটন খাতকে আরও একধাপ এগিয়ে নেবে। পার্কের সৌন্দর্য ও পর্যটক আকর্ষণের জন্য দুই পাহাড়ের মাঝে ঝুলন্ত সেতু, কেবল কার, হ্রদ তৈরি ও হ্রদে ঘুরে বেড়ানের জন্য স্পিডবোটের ব্যবস্থাসহ মিনি চিড়িয়াখানা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। পানীর ভেতরে ব্রিডি গেম হলসহ আরও কিছু নানা স্থাপনা গড়ে তোলা হবে।

ইউএনও ফাহমিদা মুস্তফা বলেন, স্বপ্নতরী পার্কের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পর্যটনবান্ধব একটি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়েছে। স্বপ্নতরী পার্ক শিশু বিনোদনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে এবং পার্কের সৌন্দর্যবর্ধন করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হবে। পরিবেশের যাতে ক্ষতি না হয় সেই বিষয়টিও দেখা হবে। এখানে পর্যটন স্পট হলে মানুষের কর্মসংস্থান হবে এবং স্থানীয়দের আর্থিক সচ্ছলতাও বাড়বে বলেও।

যেভাবে যাবেন স্বপ্নতরী পার্কেঃ ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে গ্রহণ করা হয়েছে। পার্কে দর্শনার্থীদের জন্য থাকা- বাসে করে রামুর রশিদকারে যেতে হবে। চট্টগ্রাম- কক্সবাজার মহাসড়কের পূর্ব পাশে স্বপ্নতরী পার্থের অবস্থান। কক্সবাজার জেলা শহর থেকে ২৩ কিলোমিটার ও রামু উপজেলা সদর থেকে ৮ কিলোমিটার আগে স্বপ্নতরী পার্কের অবস্থান।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888