শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৪ পূর্বাহ্ন
মোঃ সাইদুজ্জামান সাঈদ, রামু : পূর্ব সীমান্তের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি মাত্র ১২ কিলোমিটারের এই সড়ক। এটি দেখবাল করেন সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ)। সড়কটির বর্তমানে চওড়া মাত্র ১২ ফুট। মিয়ানমার সীমান্তে পাহারারত বিজিবির হাজারো সদস্যের খাদ্য, অস্ত্র, গোলা-বারুদ সহ অভ্যন্তরীণ সড়ক উন্নয়নে ব্যবহৃত কার্ভানব্যানের প্রস্থ সাড়ে ৮ ফুট। দূরপাল্লার মালবাহি গাড়ির চওড়াও সাড়ে ৮ ফুট। এমন দুই টি গাড়ি মুখোমুখি হলে যানজট ছুটে না দুই চার ঘন্টায়ও। এসময় মানুষ পায়ে হাটা ও মুশকিল হয়ে পড়ে।
ট্রাক চালক নুরুল হাকিম,হারুনসহ অনেকে বলেন,এ সড়কের দুই পাশে রয়েছে পাহাড়, সড়কটি প্রসস্থ না হলে যেকোনো সময়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। পক্ষান্তরে সড়ক কতৃপক্ষ সড়ক বিভাগ সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারী করেন ৫ টনের অধিক ভারী কোন যানবাহন এ সড়কে চলতে পারবে না,যা এখন কেউ মানছে না। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত চলে ২০ টনের অধিক পণ্যবাহী ভারী যান বাহন। যা পরিস্থিতির শিকার বলে দাবীও করেন ব্যবসায়ী ও চালকরা। তার উপর অতি ঝুঁকিতে রয়েছে বেশকিছু বেইলী ব্রিজ ও কালবার্ট। এ-সব ব্রিজ, কালবার্ট গুলো সড়ক বিভাগ তড়িগড়ি করে লোক দেখানো সংস্কার করলেও স্থায়ী হয় না।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন ও শিক্ষক মংশৈ প্রু মার্মা বলেন,সড়কটির দূরত্ব মাত্র ১২ কিলোমিটারের। সড়ক টি স্বাধীনতার ৫১ বসৎরেও চওড়া অতি ছোট হওয়ায় গাড়ি চলাচলে নানা জটিলতা দীর্ঘ দিনের। তাই দূর্ঘটনা এ সড়কের নিত্য সঙ্গী। কারণ সড়কের যাতায়াতকারী, ৬ টি ইউনিয়নের আড়াই লাখ মানুষ ছাড়াও রয়েছে রাবার ও চা বাগানের মালামাল নেওয়া আনার সমস্যা। এবং সীমান্ত সুরক্ষায় নিয়োজিত বিজিবি ব্যটালিয়ন জোনও।বিশেষ করে এ সড়কের জারুলিয়াছড়ি ব্রীজ সহ ৫ টি বেইলী ব্রীজের অধিক ঝুঁকিপূর্ণ।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫ টনের অধিক ভারী যানবাহন চলাচল নিষেধ থাকলেও তা মানছে না কেউ। উল্লেখ্য এই সড়ক দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করছে। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদর, দোছড়ি,বাইশারী ও সোনাইছড়ি ও রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া, গর্জনিয়াসহ ৭ ইউনিয়নের মানুষ। এই এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৩ শতাধিক। এতে শিক্ষক শিক্ষার্থী আছে ৩০ হাজারাধিক।
বিশেষ করে ককসবাজার জেলা খাদ্য-শস্য ভান্ডার খ্যাত কচ্ছপিয়া ও গর্জনিয়া ইউনিয়ন সহ সীমান্তের ৭ টি ইউনিয়নের, উৎপাদিত পণ্য বেচাকেনার হাট গর্জনিয়া বাজারের পণ্য আমদানী-রপ্তানীতে ব্যাবহার হচ্ছে রামু – নাইক্ষ্যংছড়ি সড়কটি। সচেতন মহলের মতে সড়কটি, সম্প্রসারণ খুবই দরকার। জন সাধারণের কষ্টলাগবে দ্রুত সড়কটি প্রসস্থসহ সংস্কারে দাবি জানান।
নাইক্ষ্যংছড়িস্থ ১১ বিজিবি অধিনায়ক ও জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল সাবেল আহমেদ নোবেল (এসি) বলেন, এ সড়কে মিয়ানমার সীমান্তে দায়িত্বরত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)র ব্যাটালিয়ন সদর ও বিওপি সহ অনেক অফিস বা স্থাপনা রয়েছে। জরুরী মূহুর্তে এ সীমান্তে যাতায়াতে রামু- নাইক্ষ্যংছড়ি সড়কই একমাত্র ভরসা। কিন্তু সড়কটির চওড়া এতো ছোট যে দুটি গাড়ি পরস্পরকে সাইড দিতেও অনেক সময় লাগে। রিক্স নিয়ে সব যানবাহন চলাচল করছে এ সড়কে। এখন সীমান্ত নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তার জন্যে এ সড়কের সম্প্রসারণ প্রয়োজন আছে।
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেযারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ শফিউল্লাহ প্রতিবেদক কে বলেন, পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষযক মন্ত্রী বীরবাহাদুরের সহযোগীতায় রাস্তা টি দ্রুত সংস্কার করা হবে।
এ বিষয়ে বান্দরবান (সওজ) এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন চৌধুরী জানান,এই সড়কের বিভিন্ন বাজার এলাকায় রির্চাসম্যা (প্রসস্থ) সহ সড়কটির প্রকল্প দেওয়া হয়েছে। আর ব্রিজ গুলো আলাদা প্রকল্প দেওয়া হয়েছে।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply