বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩২ অপরাহ্ন
চকরিয়া প্রতিবেদক: চকরিয়া উপজেলায় এইচএসসি পরীক্ষার চালাকালীন চাপাচাপি ও অনৈতিক সুবিধা না দেওয়া শিক্ষকদের কেন্দ্রের ভেতর অবরুদ্ধ করে রাখার আধা ঘণ্টা পর উদ্ধার করেছে ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সোয়া একটার দিকে উপজেলার ডুলাহাজারা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
ওইদিন ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা ছিল। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাত উজ জামান ও চকরিয়া থানার একদল পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ও অবরুদ্ধ শিক্ষকদের উদ্ধার করে নিয়ে যান।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ইংরেজি দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষা ছিল। ডুলাহাজারা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে ১৪টি কক্ষে ৬৪৬জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেন। সকাল ১০টা শুরু হয়ে দুপুর ১টায় পরীক্ষা শেষ হয়। পরীক্ষার কেন্দ্রে ২৫জন শিক্ষক দায়িত্ব পালন করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিন শিক্ষক বলেন, ‘যথারীতি এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়ে বেলা একটায় শেষ হয়। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ৩০-৪০জন শিক্ষার্থী কেন্দ্রের বাহিরে গিয়ে হট্টগোল ও বিশৃঙ্খলা শুরু করে। শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রে অনৈতিক সুবিধা দেওয়া ও চাপাচাপির অজুহাত দিয়ে তারা পরীক্ষার কেন্দ্রের বাহিরে শিক্ষকদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছিল। তখন শিক্ষকরা ভয়ে কেন্দ্রের ভেতর অফিস কক্ষে দরজা আটকিয়ে অবস্থান করেন। প্রায় ৩০মিনিট পর চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাহাত উজ জামান ও থানার একদল পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।’
ডুলাহাজারা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্রের হল সুপার রহিম উদ্দিন বলেন, ‘পরীক্ষা যথাসময়ে শুরু হয়ে একটায় শেষ হয়। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা কেন্দ্র থেকে বের হয়ে যায়। শিক্ষকরাও স্কুলের অফিস কক্ষে নাস্তা করছিল। এমন সময় ৩০-৪০জন শিক্ষার্থী কেন্দ্রের বাহিরে বিশৃঙ্খলা শুরু করে। শিক্ষকদের বের হতে দিবে না, এমনি মারধর করার হুমকি দিচ্ছিল। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশকে জানানো হয়। পরে এসিল্যান্ড ও থানার পুলিশ এসে শিক্ষকদের নিয়ে চলে যায়।
এ বিষয়ে চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাত উজ জামান বলেন, ‘এইচএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর কিছু শিক্ষার্থী কেন্দ্রের বাহিরে হট্টগোল শুরু করে। শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রে কারো সঙ্গে কথা বলতে পারেনি এমন কিছু অযৌক্তিক দাবি করেছে। পরে তাদের বুঝিয়ে বলার পর শিক্ষার্থীরা বাড়ি চলে যায়। শিক্ষকদের গাড়ি নিয়ে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়।’
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply