মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৯ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিবেদক : চলতি বছরই ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালুর পরিকল্পনা সরকারের। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেল লাইন স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। পর্যটন নগরী কক্সবাজারে নির্মাণ করা হয়েছে ঝিনুকের আদলে দৃষ্টিনন্দন আইকনিক রেলস্টেশন। আগামী ১৫-২০ অক্টোবর দোহাজারি-কক্সবাজার রেললাইনে হবে ট্রায়াল রান। আর অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার আইনকনিক রেলস্টেশন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রণালয় সচিব ড. মো: হুমায়ুন কবীর।
তিনি বলেন, দোহাজারি-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্প এটা সারাদেশের জনগণের একটা স্বপ্নের প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ নির্দশনায় সম্পন্ন করা হচ্ছে। এরই মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে। আগামী ১৫ থেকে ২০ অক্টোবর দোহাজারি-কক্সবাজার রেললাইনে পরীক্ষামূলক ট্রায়াল রান হবে যার অগ্রগতি দেখতে কক্সবাজার আসা। আশা করছি, অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দোহাজারি-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।
রেলপথ মন্ত্রণালয় সচিব ড. মো: হুমায়ুন কবীর বলেন, এখন সরাসরি ঢাকা টু কক্সবাজার ট্রেন চলাচল শুরু হবে না। প্রথমে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করবে। আশা করছি, নভেম্বরের মধ্যে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
ড. মো: হুমায়ুন কবীর আরও বলেন, চট্টগ্রামের কালুরঘাটের পুরনো যে সেতুটি রয়েছে তা দোহাজারী-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল শুরুর আগেই সংস্কার করে মজবুত করার কাজ চলছে। আশা করি, অক্টোবরের মধ্যে সেতুটির সংস্কার কাজও সম্পন্ন হবে। দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন উদ্বোধন হওয়ার পরের দিন থেকেই বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হবে না। আমরা হয় তো কিছুদিন সময় নেব। এরই মধ্যে হয় তো কালুরঘাটের পুরনো সেতুতে ট্রেন সীমাবদ্ধ গতিতে চলবে। দোহাজারী-কক্সবাজার নতুন যে রেললাইন এটাতে ১০০ বা ১২০ কিলোমিটার গতি সম্পন্ন লোকোমোটিভ যাত্রী ট্রেন যাতে চলাচল করতে পারে যে উপযোগী করে নির্মাণ করা হয়েছে। যতদিন পর্যন্ত কালুরঘাটে নতুন সেতু না হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত পুরনো সেতু অংশে শুধুমাত্র সীমাবদ্ধ গতিতে ট্রেন চলবে। কিন্তু সেতুর পর থেকে ১০০ বা ১২০ কিলোমিটার গতি ট্রেন চলবে।
পরিদর্শনকালে সচিব ড. মো: হুমায়ুন কবীরের সঙ্গে দোহাজারি-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. সুবক্তাজিমসহ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে আইকনিক রেলস্টেশন পরিদর্শনে যান রেলপথ মন্ত্রণালয় সচিব ড. মো: হুমায়ুন কবীর। তিনি পুরো আইকনিক স্টেশন ঘুরে ঘুরে দেখেন এবং প্রকল্প সংশ্লিস্টদের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন।
এরপর বেলা ১২টার দিকে দোহাজারি-কক্সবাজার প্রকল্পের প্যাকেজ-২ আওতায় নির্মিত রেলট্র্যাকে গ্যাংকারযোগে পরিদর্শন করেন এবং ৬০ কিলোমিটার রেলট্র্যাকে গ্যাংকারে করে চকরিয়ার হারবাং স্টেশনে পৌছান। এরপর চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply