মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩১ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজারের জলবায়ুকর্মীরা সরকারি পর্যায়ের বিনিয়োগকারী ব্যাংকগুলো এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে জীবাশ্ম জ্বালানীর পরিবর্তে টেকসই প্রকল্প এবং নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ করার আহবান জানিয়েছেন।
শুক্রবার সকালে কক্সবাজার প্রেসক্লাব সংলগ্ন সড়কে জলবায়ু ধর্মঘটে অংশ হিসেবে আয়োজিত মানববন্ধনে এমন আহবান জানানো হয়।
ফান্ড আওয়ার ফিওচার’ এই দাবি রেখে দেশব্যাপী একশন এইড বাংলাদেশের সহযোগিতায় শুক্রবার জলবায়ু ধর্মঘট চলছে।জলবায়ু সংকট নিরসন, ন্যায়বিচার দাবি ও জনগনকে সচেতন করতে একশন এইড বাংলাদেশের সহায়তায় ও এক্টিভিস্টা নেটওয়ার্ক এর ৩০ টির বেশি তরুণ সংগঠন এর সহস্রাধিক তরুন এ ক্লাইমেট স্ট্রাইকে অংশ গ্রহণ করছে। বাংলাদেশের ২৬ টি জেলায় এবং ৭ টি লোকাল ইয়ুথ হাবে তরুণ এক্টিভিস্টা সেচ্ছাসেবকরাও এই গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইকে সংহতি প্রকাশ করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় একশনএইডের যুব প্ল্যাটফর্ম এক্টিভিস্টা কক্সবাজার শাখা শতাধিক তরুণ তরুণী সকালে কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সামনে জলবায়ু ধর্মঘট করে।
এক্টিভিস্টা কক্সবাজারের যুবরা কক্সবাজারের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে জলবায়ু সুবিচারের দাবিতে র্যালী করে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেয় এবং সেখানে অবস্থান ধর্মঘট করে সকাল ১০ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত।
এসময় তরুণরা দলমত নির্বিশেষে সমাজের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষদের সাথে নিয়ে জলবায়ু সংকট নিরসন, ন্যায়বিচার দাবিতে ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থান নেয়। প্ল্যাকার্ড এ তাদের প্রতিবাদের অক্ষরে লিখা দাবি জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধ কর,নবায়নযোগ্য জ্বালনীতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি কর,জলবায়ু সুবিচার চাই ইত্যাদি প্রকাশ পায়।
একশন এইডের যুব প্রোগ্রামের ব্যবস্থাপক মোঃ নাজমুল আহসান বলেন , ‘ সারা পৃথিবীতে যে হারে জীবাশ্ম জ্বালানিতে ও ব্যবসায়িক কৃষি পণ্যে বিনিয়োগ বেড়ে চলেছে তা ন্যায়ভিত্তিক ও টেকসই উন্নয়নমূলক পৃথিবী গড়ার ক্ষেত্রে বিরাট অন্তরায়। ফলে বাংলাদেশের তরুণরা নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও জলবায়ুসহিষ্ণু টেকসই কৃষিতে বিনিয়োগের গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে জলবায়ু নিরাপত্তা, খাদ্য নিরাপত্তা ও জলবায়ু প্রশমন তহবিলের দাবি করছে।’
একশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির বলেন, “ফসিল-ফাইন্যান্স ও ক্ষতিকর ব্যবসায়িক কৃষিপণ্যতে বিনিয়োগ প্রবণতা ক্রমবর্ধমান পুঁজিবাদী মানসিকতার একটি প্রধান উদাহারন যেখানে মানুষের চেয়ে মুনাফাই মুখ্য। এটি পৃথিবীতে বাস্তুতন্ত্র এবং জলবায়ুকে মারাত্মকভাবে ধ্বংস করছে। ফরে বিরুপ প্রভাব পড়ছে গ্লোবাল সাউথের দেশগুলোর উপর। এর ফলে অতিমাত্রায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে নারী ও যুবসহ বিপদাপন্ন গ্রুপগুলো। আমরা যদি এখনি সোচ্চার না হই তবে নিকট ভবিষ্যতে আমাদের বড় দুর্যোগ ও বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হবে। বাস্তুচ্যুত হতে হবে আমাদের মতো দেশগুলির লক্ষাধিক মানুষকে।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply