শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪১ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকনাফে পাহাড়ি সন্ত্রাসী কতৃক অপহরণের শিকার বনবিভাগের পাহারা দলের তিন সদস্য তিনদিনেরও উদ্ধার হয়নি।তবে মুক্তিপণের টাকার সংখ্যা কমিয়ে এখন অপহৃতদের পরিবারের কাছ থেকে জনপ্রতি ১০লাখ টাকা করে ৩০লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হচ্ছে।
রবিবার সন্ধ্যায় বনবিভাগের টেকনাফ রেঞ্জ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ও নেচারপার্ক মোচনী বন পাহারা দলের সভাপতি মোহাম্মদ ওসমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত শুক্রবার পাহাড়ের সংঘবদ্ধ অপহরণ চক্রের সন্ত্রাসীরা তাঁদের অপহরণ করা হয়। অপহৃত তিনজন হলেন-হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া এলাকার আবদুল মালেকের ছেলে মোহাম্মদ শাকের (২০), বকসু মিয়ার ছেলে আবদুর রহমান (৪২) ও আবদুস শুক্কুরের ছেলে আবদুর রহিম (৪৬)।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদ ৯নং ওযাডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, শুক্রবার সকালে ইউনিয়নের মোচনী বিটের নেচারপার্ক বনে পাহারা দেওয়ার সময় বেসরকারি সংস্থা নিসর্গের অধীন কর্মরত তিন পাহারাদারকে অপহরণ করা হয়। খবর পেয়ে বন পাহারা দলের অর্ধশতাধিক সদস্য পাহাড়ে অভিযান চালান। এরপর শনিবার সকালে শাকেরের মা আম্বিয়া খাতুন, রহিমের স্ত্রী রাবিয়া বেগম এবং আবদুর রহমানের স্ত্রী সানজিদার মুঠোফোনে কল দিয়ে ২০লাখ টাকা করে ৬০লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল। রবিবার দুপুরে সন্ত্রাসীরা অপহৃতদের কাছে থাকা মুঠোফোন দিয়ে পরিবারের কাছে ফোন করে জনপ্রতি ১০লাখ করে ৩০লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। দাবি করা টাকা না পেলে তাদেরকে হত্যা করা হবে বলে হুমকিও দেন। তিনজনকে অক্ষত অবস্থায় ফেরত চান দাবি করে পরিবারের সদস্যরা বলেন, টাকা না পেলে তাঁদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। অপহৃত তিনজনকে বিভিন্ন ধরনের নিযাতন ও মারধর করা হচ্ছে।এসময় পরিবারকে মুঠোফোনে তাঁদের চিৎকার শুনিয়ে ভয় দেখান অপহরণকারীরা। এঘটনায় পুরো এলাকার বাসিন্দারা উদ্বিগ্ন ও আতংকের মধ্যে রয়েছে।তিনদিন পার হলেও এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ বলেন, এ ঘটনার পর শুক্রবার রাতে টেকনাফ সদরের বিট কর্মকর্তা আবুল কালাম সরকার বাদী হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। তিনজন বন প্রহরীর উদ্ধারের জন্য পুলিশ প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে।
গত সাড়ে ৮ মাসে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৮৬জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে ৪২জন স্থানীয় বাসিন্দা, বাকি ৪৪ জন রোহিঙ্গা। অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ৩৯জন মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন বলে ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply