শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৯ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ সে ভয়াল ২৯ এপ্রিল। বাংলাদেশের উপকূলবাসীর স্বজন হারানোর দিন। ১৯৯১ সালের এই দিনে এক মহা প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জ্বলোচ্ছ¡াসে লন্ডভন্ড হয়ে যায় বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা।
১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের দিবাগত মধ্যরাতে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, বরিশাল, পটুয়াখালী, রবগুনাসহ দেশের উপক‚লীয় এলাকার উপর দিয়ে ১২ থেকে ২০ ফুট উচ্চতায় জ্বলোচ্ছাস আঘাত হানে। এতে ২ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটার পাশাপাশি নিখোঁজ হয় ১ লাখ মানুষ। ৭০ হাজার গবাদী পশু মারা যায়। ঐ রাতের তান্ডবে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয় বলে সরকারী হিসেবে রয়েছে। তবে বেসরকারী হিসেবে এ ক্ষতির পরিমান আরো বেশি হবে বলে জানালেন, কোষ্টাল জার্নালিষ্ট ফোরাম অফ বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট আতা উল্লাহ খাঁন।
সে প্রলয়ংকরী ঘুর্ণিঝড়ের ৩২ বছর অতিবাহিত হলেও কক্সবাজারের উপকূলবাসী এখনও অরক্ষিত। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বিভিন্ন স্থানে খোলা রয়েছে উপকূলীয় বেড়িবাঁধ। ফলে বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায় উচ্চ জোয়ারের সময় লোকালয়ে সাগরের লোনাজল এখনও প্রবেশ করছে।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. তানজির সাইফ আহমেদ জানান, কক্সবাজারের ৫৯৫ কিলোমিটার বেড়িবাধেঁর মধ্যে ৩২ কিলোমিটার ঝুকিঁপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। তবে পুরো উপকূল জুড়ে সুপার ডাইক নির্মানের জন্য কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
১৯৯১ সালের এ দিনে সব চেয়ে বেশী প্রাণহানী ঘটে কক্সবাজারের মহেশখালীর ধলঘাটা উপ-দ্বীপে। এ ইউনিয়নের সাবেক নারী ইউপি সদস্য কামরু নাহার রুবি জানান, এখানে এমন কোন বাড়ী বা ঘর নেই যে বাড়ী বা ঘর থেকে ৫/৬ জন লোক মারা যায়নি। তাই এ দিন টি আসলে এখনো প্রতিটি বাড়ীতে কান্নার রোল পড়ে যায়।
ধলঘাটা তরুন ছ্ত্রা সংঘের সভাপতি জয়নাল আবেদীন জানান, ১৯৯১ সালের পর থেকে ধলঘাটার মানুষ বেড়ীবাঁধ নিয়ে কষ্টে আছে।
মহেশখালীর মাতারবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবু হায়দার বলেন, এসব কিছুর পরও সরকার উপকূলবাসীর জন্য সুপার ডাইকের ব্যবস্থা করবে এবং যে কোন ভাবে তা উপকূলীয় এলাকাকে নিরাপদ করবে এ আশা আমাদের।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply