মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১০ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিবেদক : মুসলিম সম্প্রদায়ের পবিত্র মাহে রমজানের ছোঁয়ায় বদলে গেছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের দৃশ্য। এখন পর্যটন শূন্য পরিস্থিতিতে সৈকত জুড়ে নজিরবিহীন নির্জনতা বিরাজ করছে। আর এই নির্জন সৈকত জুড়ে চলছে ইফতারের উৎসব।
রমজানের শুরু থেকে এ পর্যন্ত সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট জুড়ে দল বেঁধে এসব ইফতারের আয়োজন দেখা মিলছে। কোথাও সৈকতের বালিয়াড়িতে, আবার কোথাও সৈকতের নিকটবর্তী রেস্তোঁরায় চলছে এই ইফতারের আয়োজন। যেখানে অংশ গ্রহণকারি অধিকাংশই কক্সবাজারের স্থানীয় মানুষ।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের শৈবাল, লাবণী, সুগন্ধা, সীগাল, কলাতলী পয়েন্টের পাশাপাশি এসব ইফতারের আয়োজন দেখা গেছে দরিয়ানগর, হিমছড়ি, পাটুয়ার টেক থেকে টেকনাফের সাবরাং মেরিন ড্রাইভের জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত।
পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানান, পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কক্সবাজারে পর্যটক না আসায় সমুদ্র সৈকতের দৃশ্য এখন ভিন্ন। কোথাও কোন মানুষের আনাগোনা নেই।
সুগন্ধা পয়েন্টে দায়িত্বরত বীচকর্মী মো. বেলাল হাসেন জানিয়েছেন, খুব অল্প সংখ্যক পর্যটক দেখা গেলে সৈকতকে নির্জন বলা যাবে। তবে এ দৃশ্য ইফতারের সময় একটু ভিন্ন। বেশ কয়েকটি পয়েন্টে ছোট ছোট দল বেঁধে ইফতারের আয়োজন চলে সৈকতের বালিয়াড়িতে। একই সঙ্গে সৈকতের নিকটবর্তী রেস্তোঁরা গুলোতেও বসে ইফতারের আয়োজন।
সৈকতের ইনানী পয়েন্টে রমজানের বেশ কয়েকদিন ইফতারের আয়োজন করেছে উখিয়ার কিছু শিক্ষার্থী। এর মধ্যে কক্সবাজার সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্র ইমরান আল মাহমুদ বলেন,‘সমুদ্র সৈকতে খোলা জায়গায় মনোরম পরিবেশে ইফতার করা অনেক আনন্দের। সাগরপাড়ে বসে ঢেউয়ের গর্জনের সাথে লাল কাঁকড়ার বিচরণ, সূর্যাস্তের দৃশ্য উপভোগ করে ইফতারের মুহুর্তগুলো অনেক আনন্দের।’
সৈকতের সী গাল পয়েন্টের বালিয়াড়িতে মঙ্গলবার ইফতারের সময় কথা হয়েছে কক্সবাজার শহরের তরুণ ব্যবসায়ী নাহিদ হোছাইনের সাথে। তিনি জানান, নীরব সৈকত, সাগরের আবহ, সুশীতল আবহাওয়ায় ইফতারের ভিন্ন আনন্দ নেয়া যায়।
সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টের পাশে অবস্থিত ক্যাপ্টেনস বীচ রেস্টুরেন্টের পরিচালক বেলাল আবেদীন ভ‚ট্টো জানান, রমজানের শুরু থেকে পর্যটন শূণ্য হলেও ইফতারের সময় তাদের প্রতিষ্ঠানে শতাধিক মানুষের ইফতার অর্ডার থাকে। যাদের অনেকেই ইফতার নিয়ে সৈকতের বালিয়াড়িতে চলে যায়। আবার অনেকেই রেন্টুরেন্টে বসে ইফতার করেন।
সেনডি বীচ রেস্টুরেন্টের পরিচালক আবদুর রহমান জানান, তাদের প্রতিষ্ঠানের ইফতারের অনেক অর্ডার থাকে। সৈকতের সৌন্দর্য উপভোগ করে কেউ বালিয়াড়িতে আবার কেউ রেস্টুরেন্টে বসে ইফতার করছেন।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply