শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:১৮ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন স্বাভাবিকভাবে সকল প্রকার স্থাপনা নিমার্ণ অবৈধ। এর মধ্যে আদালতের নিদের্শ রয়েছে সেন্টমার্টির ক্রিড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গার শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করার। কিন্তু তারপরও আদালতের নিদের্শ অমান্য করে সেন্টমার্টির ক্রিড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গায় অবৈধভাবে স্থাপনা নিমার্ণ করছে প্রভাবশালী একটি চক্র। যেখানে স্থানীয় ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে এ ভবন নিমার্ণের অভিযোগ উঠেছে।
আর প্যানেল চেয়ারম্যান ও পুলিশ স্থাপনা নিমার্ণের কথা স্বীকার করে বিষয়টি পরিবেশ অধিদপ্তর দেখবেন বলে মন্তব্য করেছেন। বিষয়টি নিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সেন্টমার্টির ক্রিড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উপদেষ্টা আবদুর রহমান বাদি হয়ে দায়ের করা একটি এম.আর. মামলার প্রেক্ষিতে ২২ মার্চ কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর আদালতের বিচারক মো. আবু সুফিয়ান এক আদেশ প্রদান করেন।
আদেশে বলা হয়েছে সেন্টমার্টির ক্রিড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উপদেষ্টা আবদুর রহমান বাদি হয়ে নুরুল আমিন সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৪৪ ধারামতে একখানা আবেদন করেন। বিজ্ঞ কৌশুলীর বক্তব্যে বলা হয়েছে নলিশী জমি ১ম পক্ষের দখলে রয়েছে এবং নালিশী জমির সকল ডকুমেন্ট আছে। দ্বিতীয় পক্ষ জোরপূর্বক নালিশী জমি দখল করতে চেষ্টা চালাচ্ছে। এতে শাস্তি ভঙ্গের আশংকা বিদ্যমান। তাই এ বিষয়ে সরেজমিনে তদন্তপূর্বক মতামত সহ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) বলা হল। এ সময় বিদ্যালয়ের জায়গার শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করবে টেকনাফ থানার ওসি। দ্বিতীয় পক্ষকে আদালতে হাজির হতে নোটিশও প্রদান করার আদেশ দেন বিচারক।
সেন্টমার্টির ক্রিড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উপদেষ্টা আবদুর রহমান জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরে আদালতে নিদের্শ অমান্য করে স্থাপনা নিমার্ণ করা হচ্ছে। দ্বীপে সকল স্থাপনা নিমার্ণ অবৈধ। এর সাথে আদালতে পৃথক নিদের্শ থাকলেও তা অমান্য করে স্থাপনা নিমার্ণ বন্ধে প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলেও পুলিশ কাজ বন্ধ করেন নি। সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আকতার কামাল স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে প্রকাশ্যে এ স্থাপনার কাজ চালাচ্ছে।
স্কুলের দাবি করা জমিটির পক্ষে মামলাকারিদের কোন কাগজপত্র নেই দাবি করে স্থাপনা নিমার্ণের কথা স্বীকার করেন সেন্টমার্র্টিন ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আকতার কামাল জানান, আদালতের আদেশটি মেয়াদ শেষ হয়েছে। যার জায়গা তারাই স্থাপনা করছেন। ওখানে তিনি কোনভাবেই জড়িত নন।
সেন্টমার্টিনে স্থাপনা নিমার্ণ স্বাভাবিকভাবে অবৈধ তারপরও কিভাবে স্থাপনা নিমার্ণ হচ্ছে এমন প্রশ্নের উত্তরে প্যানেল চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিষয়টি প্রশাসন ভালো জানবেন।’
স্থাপনা নিমার্ণের কথা স্বীকার করেছেন সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক সুদীপ্ত ভাট্টাচার্যও। তিনি জানান, আদালতের আদেশে কাজ বন্ধ রাখার কথা বলা হয়নি। শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করতে বলা হয়েছে। স্থাপনা নিমার্ণ শান্তিপূর্ণ চলছে।
সেন্টমার্টিনে স্থাপনা নিমার্ণ স্বাভাবিকভাবে অবৈধ তারপরও কিভাবে স্থাপনা নিমার্ণ হচ্ছে এমন প্রশ্নের উত্তরে বিষয়টি পরিবেশ অধিদপ্তর দেখবেন বলে মন্তব্য করেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply