সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১৬ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার উপকূলে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ১৬ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো নিখোঁজ আছে ৩ জন জেলে।
শনিবার (২০ আগস্ট) বেলা ১ টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে খুরুশকুল লামাজিপাড়ার এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারের মালিক জাকের সওদাগর।
তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার ১৯ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে গভীর সাগরে মাছ শিকারে যায় এফবি মায়ের দোয়া ট্রলার। পরবর্তীতে দুর্যোগপুর্ণ আবহাওয়ার সাগর উত্তাল হওয়ায় মাছ শিকার না করে শুক্রবার উপকূলে ফিরতে শুরু করে ট্রলারটি। কিন্তু শুক্রবার দুপুরে বঙ্গোপসাগরের নাজিরারটেক মোহনায় এসে ঢেউয়ের আঘাতে ট্রলারটি উল্টে যায়। পরে স্থানীয় জেলে ও কোস্টগার্ড সদস্যরা ৮ জন জেলেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে। বাকিরা নিখোঁজ ছিল।
“তবে নিখোঁজ ১১ জনের মধ্যে শুক্রবার রাতে স্থানীয় আরও একটি ট্রলার দুই জন জেলেকে উদ্ধার করে। আর শনিবার আরও একটি ট্রলার ৬ জন জেলেকে উদ্ধার করে বাঁকখালী নদীর উপকূলে নিয়ে আসে। মোট ১৬ জন জেলে উদ্ধার হয়েছে এবং ৩ জন নিখোঁজ রয়েছে।”
ট্রলার মালিক জাকের সওদাগর বলেন, ডুবে যাওয়ার ট্রলারটি এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। আর নিখোঁজ ৩ জন জেলেকে উদ্ধারে স্থানীয় জেলেরা কাজ চালাচ্ছে।
শুক্রবার উদ্ধার হওয়া জেলেরা হলেন : মোহাম্মদ আলম, রাশেদ, ফরিদ, হাফেজ, বখতিয়ার, আবুল হোসেন, আবুল কাশেম ও মাত আলম। তাৎক্ষনিকভাবে উদ্ধার আরও ৮ জন জেলের নাম পাওয়া যায়নি। তারা সবাই কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল পূর্ব হামজার ডেইল এলাকার বাসিন্দা।
এদিকে কোস্টগার্ড কক্সবাজার অফিস জানিয়েছে, ৮ জন জেলেকে উদ্ধারের পর প্রাথমিক চিকিৎসা, খাবার খাওয়ানোর পর শুক্রবার রাতে পরিবারের কাছে হস্থান্তর করা হয়েছে। আর ট্রলার মালিক জানিয়েছে নিখোঁজ ১১ জন জেলের মধ্যে শনিবার আরও ৮ জন জেলে উপকূলে ফিরে এসেছে। এখন নিখোঁজ ৩ জন জেলেকে উদ্ধারে কোস্টগার্ডের উদ্ধারর অভিযান চলছে।
উদ্ধার হওয়ার জেলেদের মধ্যে মোহাম্মদ আলম (৫০) বলেন, শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে বিশাল একটি ঢেউয়ে ট্রলার উল্টে যায়। এতে ট্রলারে থাকা ১৯ জন জেলে সাগরে ভাসতে থাকে। ১৯ জনের মধ্যে আমিসহ রাশেদ, ফরিদ, হাফেজ এই ৪ জন একটি লাইফ জ্যাকেট ধরে প্রায় ২ ঘন্টা ভাসতে থাকি। এক পর্যায়ে সাগর থেকে ফেরার পথে ২টি ট্রলার আমাদের উদ্ধার করে। এরপর ঘটনাস্থলে কোস্টগার্ড এসে দ্রুত চিকিৎসা জন্য কক্সবাজার উপকূলে নিয়ে যায়। এখন মোটামুটি সুস্থ রয়েছি।
উদ্ধার হওয়ার আরেক জেলে বখতিয়ার (৫২) বলেন, “রাখে আল্লাহ, মারে কে। ১টি ড্রামে ৪ জন জেলে ২ ঘন্টা ভাসতে থাকি। এক পর্যায়ে মনে হয়, ভাসতে ভাসতে সাগরে মারা যাচ্ছি। কিন্তু হোঁট করে কোস্টগার্ড এসে আমাদের উদ্ধার করে।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply