শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৬ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভবনে উঠে আত্মহত্যার চেষ্টায় প্রথম দফায় বাঁচানো গেলেও শেষ পর্যন্ত বাঁচানো গেলো না সেই কিশোর ‘ওসাইমিম’কে।
শুক্রবার রাতে যে কোন সময় উখিয়ার নিজ বাড়ির শয়ন কক্ষে ওসাইমিম আত্মহত্যা করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী।
তিনি জানান, শনিবার ভোরে শয়ন কক্ষে ঝুলন্ত অবস্থায় ওসাইমিম এর মৃতদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে মৃতদেহ উদ্ধার করে। পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিনা ময়নাতদন্তে দাফনের জন্য মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
কক্সবাজার বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমির দশম শ্রেণীর ছাত্র ওসাইমিম প্রথম দফায় আত্মহত্যার চেষ্টা করে ছিল গত ১৬ এপ্রিল। ওইদিন বিকালে কক্সবাজার সদর মডেল থানার কনস্ট্রাকশনের কাজ করার জন্য থানা ভবনের বাইরে তৈরী করা অস্থায়ী সিঁড়ি বেয়ে হঠাৎ ওই কিশোর তিনতলার সানসেটে উঠে যায়। এরপর সেখানে নিজের গায়ে ব্লেড দিয়ে আঘাত করে সে। একই সময় লাফিয়ে আত্মহত্যা চেষ্টা করে। পরে কক্সবাজার সদর থানার ওসি শেখ মুনীর উল গীয়াস তিনতলার ওই সিঁড়িতে উঠে তাকে আত্মহত্যা না করার জন্য নানাভাবে বুঝানোর চেষ্টা করে। ততক্ষণে নিচে পুলিশ কম্বল এবং অন্যান্য জিনিসপত্র দিয়ে লাফ দিলেও যাতে প্রাণহানি না ঘটে সেজন্য ব্যবস্থা নেয়। ওই কিশোরকে বুঝাতে সক্ষম হলে সে নিচে নামতে রাজি হয়। প্রায় ২০ মিনিটের রুদ্ধশ্বাস চেষ্টার পর তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ওইদিন ওই কিশোরের লেখা একটি কাগজও উদ্ধার করেছিল পুলিশ। এরপর পরই কিশোরকে নিয়ে উখিয়ায় নিজ বাড়ি চলে যান পিতা। পরিবারের তথ্য মতে, তাকে আর্ন্তজাতিক সংস্থার একটি হাসপাতালে মানসিক চিকিৎসাও প্রদান করা হয়। মাস ধরে কিশোর স্বাভাবিক আচরণও করে। কিন্তু শুক্রবার রাতে ফের আত্মহত্যা করলো।
উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, ইন্টারনেট ও গেইম আসক্ত কিশোরের আত্মহত্যার কারণ।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply