মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪১ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : সমুদ্র, পাহাড় ও প্রকৃতির টানে ছুটি পেলেই ভ্রমণপিপাসুরা ছুটে আসে সৈকত শহর কক্সবাজারে। আর কয়েকদিন ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি সন্ধ্যা হলে ভিড় করে শামুক-ঝিনুক, বার্মিজ পণ্যের দোকান ও শুটকির মার্কেটে। তবে পর্যটকদের বেশিভাগই কক্সবাজার এলে আত্মীয়-স্বজন বা নিজেদের জন্য কিনে নেন শুটকি।
আর এসব শুটকি কিনে নিয়ে গিয়ে অনেকেই প্রতারিত হন। যা কক্সবাজারের বদনাম হয়। শুটকি কিনে পঁচা বা নষ্ট পড়েছে সম্প্রতি পর্যটকরা এমনই বেশ কিছু অভিযোগ করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশের কাছে। যা নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ।
এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে শনিবার (০৬ আগস্ট) রাত ১০ টায় সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টের শুটকি মার্কেটে ছুটে যান ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিমের নেতৃত্বে একটি টিম। প্রায় ঘন্টাখানেক শুটকি মার্কেটের দোকানগুলো পরিদর্শন করেন। এসময় দোকানে নানা ধরণের অসঙ্গতি দেখতে পান। যা নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং অসঙ্গতিগুলো দূর করার জন্য দুই দিনের সময় দেন। এছাড়া শুটকি কিনতে কোন অসুবিধা বা প্রতারিত হচ্ছেন কিনা সেই বিষয়ে পর্যটকদের সঙ্গেও কথা বলেন ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম।
পরে শুটকি ব্যবসায়ীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম বলেন, প্রথমবারের মতো শুটকি মার্কেটে এসে সচেতন করলাম। শুটকি নিয়ে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের কোন বদনাম যাতে না হয়। পর্যটকরা যাতে কোন সমালোচনা করতে না পারে সেই কাজগুলো করবেন। এই সবাইকে মানসম্মত শুটকি বিক্রি এবং সহনীয় দামে বিক্রি করতে হবে। এরপরও যদি কোন অভিযোগ পাওয়া যায় বা প্রতিনিয়ত নজরদারি রাখবো এমন কোন সমস্যা পায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মো. রেজাউল করিম বলেন, কক্সবাজারে পর্যটকরা ভ্রমনে আসলে প্রধান যে জিনিসটা ক্রয় করার উদ্দেশ্য থাকে সেটা হচ্ছে শুটকি। ট্যুরিস্ট পুলিশের কাছে অনলাইনে একটা অভিযোগ আসে, একজন পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে এসে শুটকি ক্রয় করেছিলেন। যা ওইব্যক্তি উপহার হিসেবে তার শ্বশুর বাড়ি পাঠায়। কিন্তু শাশুড়ি প্যাকেট খুলে দেখে যে, উপরে কয়েকটা ভালো শুটকি ছিল, আর বাকি সব পঁচা নষ্ট শুটকি। পরবর্তী ওই শুটকির দোকানে অভিযান চালায় এবং নষ্ট ও পঁচা শুটকি জব্দ করি।
“কক্সবাজারে যে শুটকি মার্কেট রয়েছে সেখানে মূলত ব্যবসায়ীদের বলছি, যাতে শুটকির মান বজায় এবং মূল্যটা সহনীয় পর্যায়ে রাখে। পর্যটকরা কোনভাবেই কক্সবাজার থেকে শুটকি কিনে গিয়ে যাতে শুটকি বদনাম করতে না পারে।”
মো. রেজাউল করিম আরও বলেন, শুটকি দিয়ে বড় একটা ব্র্যান্ডিং হবে কক্সবাজারের। যেমন সমুদ্রসৈকত একটা কক্সবাজারের ব্র্যান্ডিং, ঠিক তেমনি শুটকিটাও একটা ব্র্যান্ডিং। তো কক্সবাজার থেকে শুটকি কিনে নিয়ে মানুষ সমালোচনা করবে, বদনাম করবে এটা আমরা হতে দিব না।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply