শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৭ অপরাহ্ন
শাহ নিয়াজ : আজ পহেলা আগষ্ট সোমবার থেকে দ্বিতীয় ধাপে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই ধাপে কক্সবাজার জেলার ৪টি উপজেলায় এ কার্যক্রম চলবে। উপজেলাগুলো হচ্ছে কক্সবাজার জেলার কক্সবাজার সদর, পেকুয়া, টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলায়। এই চার উপজেলায় ভোটার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৫২ হাজার ৬৫৯ জন। এর আগে কুতুবদিয়া, মহেশখালী, চকরিয়া ও রামুতে এই কার্যক্রম শেষ হয়েছে। কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে এই তথ্য জানা যায়।
জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এই চার উপজেলায় তথ্য সংগ্রহ করা হবে আজ ১লা আগষ্ট থেকে। শেষ হবে ২২ই আগষ্ট। ২৫ আগষ্ট থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত সদরে, ২৫ আগষ্ট থেকে ১৩ই সেপ্টম্বর পর্যন্ত পেকুয়ায়, ২৫ আগষ্ট থেকে ১৮ই সেপ্টম্বর পর্যন্ত টেকনাফে এবং ২৫ আগষ্ট থেকে ২২ই সেপ্টম্বর পর্যন্ত নতুন ভোটারদের তথ্য যাচাই-বাছাই করবে বিশেষ কমিটি। নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে সদরে ৬ সেপ্টেম্বর থেকে ২ই নভেম্বর পর্যন্ত, পেকুয়ায় ৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত, টেকনাফে ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত এবং উখিয়ায় ৮ নভেম্বর থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত পর্যন্ত।
মোট ভোটারের সাড়ে ৭ শতাংশ হিসাবে নতুন ভোটারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ইসি। সেই হিসাবে কক্সবাজার সদরে ২১ হাজার ৪০৮ জন, পেকুয়ায় ৯ হাজার ৪০ জন, টেকনাফে ১১ হাজার ৭৮৮ জন এবং উখিয়ায় ১০ হাজার ৪২৩ জন নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্তি হবে।
কক্সবাজার উপজেলায় তথ্য সংগ্রহকারী ১৪৫ জন এবং সুপারভাইজার ২৯ জন, পেকুয়ায় তথ্য সংগ্রহকারী ৬০ জন এবং সুপারভাইজার ১৩ জন, টেকনাফে তথ্য সংগ্রহকারী ৭৫ জন এবং সুপারভাইজার ১৮ জন এবং উখিয়ায় তথ্য সংগ্রহকারী ৬২ জন এবং সুপারভাইজার ১৫ জন।
ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি হলো পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, পিতা-মাতা মৃত হলে অনলাইন মৃত্যু সনদের সত্যায়িত ফটোকপি, স্বামী/স্ত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, বিয়ের নিকাহনামা/কাবিননামা/প্রমাণিক দলিল (বিবাহিত হলে প্রযোজ্য), মেয়র/পৌরসভার কাউন্সিলর/ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক সত্যায়িত অনলাইন জন্মসনদ (১৭ ডিজিটের), মেয়র/পৌরসভার কাউন্সিলর/ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক সত্যায়িত জন্মসনদের ভেরিফেকশন প্রিন্ট আউট কপি, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র (পিইএসসি/জেএসসি/এসএসসি/এইচএসসি/স্নাতক/স্নাতকোত্তর), জমির খতিয়ান/দলিল (দাদা/পিতা/স্বামী/ নিজ নামীয়, সংশ্লিষ্ট বসবাসরত এলাকার) যে এলাকায় ভোটার হবেন, প্রবাসী হলে পাসপোর্ট এর ব্যবহৃত সকল পৃষ্ঠার সত্যায়িত ফটোকপি (পাসপোর্টের যে ক’টি পৃষ্ঠা ব্যবহার করা হয়েছে), আপন ভাই বোন, চাচা/ভাই, বোন, ফুফু/ভাই, চাচা, ফুফু/বোন, চাচা, ফুফু অর্থাৎ তিন প্রকারের নিকটাত্মীয়ের জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, নিকটাত্মীয় (ভাই, বোন, চাচা, ফুফু) জন্মগতভাবে না থাকলে মেয়র/চেয়ারম্যান কর্তৃক দাদা/বাবা’র ‘ওয়ারিশ/উত্তরাধিকার সনদ এবং তাদের মধ্যে কেউ মৃত হলে অনলাইন মৃত্যু সনদ, ছোট কিংবা বড় ভাই বোন ভোটার না হয়ে থাকলে বয়স উল্লেখসহ উত্তরাধিকার/ওয়ারিশ সনদের মূলকপি ও জন্ম সনদের সত্যায়িত ফটোকপি, স্থানীয় মেয়র/চেয়ারম্যান কর্তৃক সম্প্রতি প্রদত্ত জাতীয়তা/নাগরিকত্ব সনদের মূলকপি (রঙ্গীন ছবিযুক্ত ও ছবির উপর কর্তৃপক্ষের সীল মোহর সম্বলিত), হোল্ডিং ট্যাক্স/চৌকিদারী কর পরিশোধের রশিদের ফটোকপি, যাচাই বাছাই প্রতিবেদন (নমুনা ফরম্যাট অনুযায়ী) (চৌকিদার, দফাদার, পরিষদ সদস্য/সদস্যা, কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান, মেয়র কর্তৃক স্বাক্ষরিত), বাদপড়া ভোটারের (০১/০১/২০০৪ ইং এর পূর্বে যাদের জন্ম) ক্ষেত্রে স্থানীয় মেয়র/কাউন্সিলর চেয়ারম্যান কর্তৃক বাদ পড়ার যৌক্তিক কারণ সম্বলিত মূল প্রত্যয়নপত্র (স্মারক নং ও তারিখ আবশ্যক, রঙ্গীন ছবিযুক্ত ও ছবির উপর কর্তৃপক্ষের সীল মোহর সম্বলিত), পরিশোধিত গ্যাস/বিদ্যুৎ/টেলিফোন বিলের কপি, ব্লাড গ্রুপ ডায়াগনষ্টিক রিপোর্ট, টিন সার্টিফিকেট/ড্রাইভিং লাইসেন্স/পেশাগত পরিচয়পত্র (যদি থাকে), প্রত্যেক আবেদনকারী নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত ফরম-২ ও বিশেষ ফরম পূরণ করে প্রয়োজনীয় প্রমাণাদি সংযুক্ত করতঃ স্বশরীলে আবেদন দাখিল করবেন, বিশেষ ফরমে অবশ্যই মেয়র/ওয়ার্ড কাউন্সিলর/চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য/সংরক্ষিত ইউপি সদস্যদের ন্যূনতম ৩ জনের সমন্বিত স্বাক্ষর ও সিল সহ সুপারিশ থাকতে হবে, ইস্যুকৃত প্রত্যেক প্রকারের সনদে স্মারক, তারিখ এবং কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর ও সীল আবশ্যক, অন্যথায় গ্রহণযোগ্য হবে না, সকল ডকুমেন্টস প্রধান শিক্ষক / চেয়ারম্যান/কাউন্সিলর/প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত হতে হবে, শনাক্তকারী এবং যাচাইকারী হিসেবে সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধি কর্তৃক স্বাক্ষর ও সীলমোহর লাগবে (দু’জন একই ব্যক্তি হতে পারবেন না), ইতিপূর্বে কেউ ভোটার হওয়ার জন্য ছবি তুলে কোন তথ্য না পেয়ে থাকলে পুনরায় ভোটার হওয়ার জন্য ফরম পুরণের আগে উপজেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হইল ফাইল সাজানোর ক্রম ঃ নিবন্ধন ফরম-বিশেষ ফরম-জন্মসনদ-জাতীয়তা সনদ-যাচাই বাছাই প্রতিবেদন-সকল জাতীয় পরিচয়পত্র-বিদুৎ বিল-হোল্ডিং ট্যাক্স-খতিয়ান-অন্যান্য ডকুমেন্টস। কোন ভিনদেশী/রোহিঙ্গা কিংবা অযোগ্য কাউকে ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হতে সহায়তা করবেন না। ইয়া আইনতা দতনীয় অপরাধ। কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও নিবন্ধন কর্মকর্তা শিমুল শর্মা কর্তৃক প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এস.এম শাহাদাত হোসেন জানিয়েছেন-দ্বিতীয় ধাপে তথ্য সংগ্রহকারী এবং সুপারভাইজারদের ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের জেলার নাগরিকদের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply