শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৬ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের মৌলভীর কাটা পশ্চিমকূল এলাকায় রশিদা খাতুন(৮৫) নামে এক বৃদ্ধাকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে রেখে ঘর ভাংচুর করে বসত ভিটা দখলের ঘটনায় মামলা নিয়েছে রামু থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে ভূক্তভোগী বৃদ্ধার মেয়ে নুর নাহার বেগম বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করে বলে শুক্রবার সকালে জানান রামু থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসাইন।
হত্যাচেষ্টা, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চুরিসহ কয়েকটি ধারায় আটজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলাটি নথিভূক্ত হয়েছে বলে জানান ওসি।
উল্লেখ্য, গত ২২শে এপ্রিল শুক্রবার বৃদ্ধা রশিদা খাতুন(৮৫) সহ তার দুই মেয়েকে মো. ইউনুচ ও আবুল মনছুর প্রকাশ লেবু দুই ভাই মিলে আরও ভাড়াটে সন্ত্রাসী এনে গত শুক্রবার বিকেল থেকে সারা রাত বৃদ্ধা রশিদা খাতুন ও তাঁর মেয়ে দিলদার বেগমের চোখ, মুখ ও হাত বেঁধে খেতের জমিতে ফেলে রাখে। ওইদিন বিকেলে এই দুই ভাই ও ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা মিলে ঘর ভেঙে ফেলে জমি দখলে নেয়। পরেরদিন সকালে স্থানীয়রা হাত-মুখ বাঁধা অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে।
এদিকে মামলা দায়েরের পর রশিদা খাতুনের সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের।
তিনি বলেন, “আমার সংসারে কোন পুরুষ সদস্য নাই বলে আজ আমাকে এভাবে অত্যাচার নির্যাতন করা হচ্ছে। ঘটনার দিন রাতে আমাদের হাত-মুখ বেঁধে ফেলে রাখায় এখনো সারাশরীরে ব্যাথা। আমার ছোট একটি কুঁড়েঘর ভেঙে যাওয়ায় নিঃস হয়ে গেলাম। মাদ্রাসা পড়ুয়া আমার দুই নাতনীর জন্য চিন্তা হচ্ছে। তারা খোলা আকাশের নিচে এখনো। আমি ঘর ফেরত চাই।”
রামুতে ঘটে যাওয়া এই অমানবিক ঘটনায় মামলা হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছে এলাকার সচেতন মহল।
দ্রুত সময়ে সরকারি-বেসরকারি সংস্থা বৃদ্ধা রশিদা খাতুনের ঘর নির্মাণে সহযোগিতা করবেন এমনটা প্রত্যাশা তার।
সংশ্লিষ্ট আগের সংবাদ : বৃদ্ধা ও তাঁর মেয়ে হাত-মুখ বেঁধে জমি দখল : ঘটনার সত্যতা পেলেও এক সপ্তাহেও লিপিবদ্ধ হয়নি মামলা
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply