শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫২ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
মাকে কুপিয়ে হত্যার পর থানা এসে হাজির যুবক টেকনাফ ছাড়াও এবার নতুন করে উখিয়া-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ভেসে আসছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ চকরিয়ায় জেলা পরিষদের জমিতে নির্মিত আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটি গঠণ সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে কক্সবাজার শহরে এসে সেন্টমার্টিন দ্বীপবাসির সড়ক অবরোধ পাহাড়ী আস্তানা থেকে মালয়েশিয়া পাচারকালে শিশুসহ ৩১ জন উদ্ধার, দুই দালাল আটক সাবের মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর পিএস ফিরোজ কক্সবাজারে গ্রেপ্তার মিয়ানমারের বাঘগুনা খালের পাশে রয়েছে নিমার্ণ সামগ্রী ও দুইটি ট্রলার, মাঝি-মাল্লা সহ ১১ জনের হদিস নেই মিয়ানমারের উপজাতি সম্প্রদায়ের ৬৫ নাগরিকের অনুপ্রবেশ চকরিয়ায় কিশোরকে ছুরিকাঘাত : আটক ৪

কক্সবাজারের উন্নয়নে স্বপ্ন প্রকাশ করলেন শেখ হাসিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজার জেলাজুড়ে ১৯১টি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান আছে। যার ব্যয় দুই লক্ষ ৯৬ হাজার কোটি টাকা। সেই উন্নয়নের স্বপ্ন হাজারো জনতার সামনে প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যায় সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে অনুষ্ঠিত ‘উন্নয়নের নতুন জোয়ারে, বদলে যাওয়া কক্সবাজার’ উৎসবে জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “ছোটবেলা থেকেই কক্সবাজারে যাওয়া ছিল নিয়মিত বিষয়। যদিও আমরা আমার বাবাকে বেশি পাইনি, বেশির ভাগ সময়তো জেলেই থাকবেন। জেলখানা থেকে যখনই তিনি মুক্তি পেতেন প্রতিবারই শীতের সময় আমাদেরকে তিনি কক্সবাজার নিয়ে যেতেন। সেই ৬২ সালে প্রথম যাই।”

“ওখানকার মানুষগুলোর কোন জীবন—জীবিকার ব্যবস্থা ছিল না। নিতান্ত দারিদ্রের কষাঘাতে জর্জরিত ছিল। সেই কক্সবাজারকে উন্নত করাই ছিল আমার স্বপ্ন। যা আজ বাস্তবায়নের পথে।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “তখন কক্সবাজার, সেখানে কি ছিল? বিশাল বালুকাময় এবং বিশ্বের সব থেকে বড় সমুদ্র সৈকত। ১২৪ কিলোমিটার সৈকত যা পৃথিবীতে বিরল। এতো দীর্ঘ বালুবেলাসহ দীর্ঘ সৈকত আর কোথাও নেই। যা কক্সবাজারে আছে।”

তখনকার অবকাঠামোর কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমরা যখন কক্সবাজার যেতাম, ছোট ছোট কটেজ ছিল। সেই কটেজ ভাড়া করে থাকতে হতো। একটা মাত্র হোটেল পরবতীর্ হয় সেটি ‘সায়মন হোটেল’। এছাড়া বলতে গেলে আর কোন কিছু ছিলই না। এরপর ১৯৮১ সালে আমি যখন স্বদেশে ফিরে আসি, আমার ছেলেমেয়ে স্কুল থেকে এলেই কক্সবাজারে বেড়াতে যেতাম।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “আমি বদরখালীতে চিংড়ি, লবণ চাষীদের অধিকার নিয়ে সম্মেলন করেছি। কুতুবদিয়া—মহেশখালী ঘুরেছি। সেন্টমার্টিন দ্বীপ, ইনানী, উখিয়াসহ এমন কোন জায়গা নেই যেখানে আমি যাইনি। উখিয়াতে তো আমার আব্বার সাথেও গিয়েছি। তখন সেখানে ঘন জঙ্গল ছিল, জঙ্গলের ভিতর থেকে রাস্তা। সেই রাস্তা দিয়ে উখিয়ার ডাকবাংলোতে আমরা ছিলাম।”

বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “কক্সবাজার আমাদের বিশাল সমুদ্রসীমা। ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটা আইন করেছিলেন। যেখানে আমাদের বিশাল সমুদ্রসীমার অধিকারটা নিশ্চিত করে গিয়েছিলেন। দূর্ভাগ্যের বিষয় হলো, একদিকে মিয়ানমার অপরদিকে ভারত। জাতির পিতার যে আইন তা বাস্তবায়ন করার কোন পদক্ষেপ ৭৫ সালের পর যারা ক্ষমতায় এসেছিলেন তারা নেয়নি। কেন নেয়নি সেটাই প্রশ্ন।

“তারা এত ক্ষমতাধর ছিল যে, এতবড় একটা সম্পদ সেই সম্পদের অধিকার আদায় করার পদক্ষেপটুকু নেয়নি।”

জ্বালানী ও বিদ্যুৎখাতের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “স্বাধীনতার পরই জাতির পিতা সমস্ত গ্যাস ফিল্ডগুলো ক্রয় করে যান। আমাদের যে সংবিধান দিয়েছেন সেখানে বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে যাতে বিদ্যুৎ পৌঁছাতে পারে সে ব্যবস্থাটা তিনি রেখেছেন।”

“পাশাপাশি অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা এই সংবিধানে বর্ণিত ছিল। ৭৫ এর পরবতীর্ ২১টা বছর আমাদের অন্ধকারে জীবন কাটে। বার বার আঘাত এসেছে, বাঁধা এসেছে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যখন ১৯৯৬ সালে সব বাঁধা অতিক্রম করে ক্ষমতায় আসি, তখন বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে শুরু করলাম। ৯৭ সালে ঘূর্ণিঝড় হয়েছিল, সেই ঘূর্ণিঝড়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপে ৭০টা ফ্যামেলিকে পেয়েছিলাম, যাদের সব ভেসে গিয়েছিল। আমাদের ওখানকার এক আওয়ামী লীগ নেতা জমি দেয়, আমরা সেখানে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর করে বসবাস করতে দিই।”

তিনি ১৯৯১ সালের প্রলংকারী ঘূর্ণিঝড়ের বর্ণনা তুলে ধরে বলেন, “৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের কথা নিশ্চয় মনে আছে কক্সবাজারবাসীর। সমস্ত এলাকা বিধ্বস্ত। যোগাযোগের কোন ব্যবস্থা ছিল না। পাঁয়ে হেঁটে হেঁটে প্রতিটি দ্বীপ অঞ্চলে আমরা যাই। চট্টগ্রামের বাঁশখালী— আনোয়ারা থেকে শুরু করে মহেশখালী, কুতুবদিয়া, বদরখালীসহ সমস্ত এলাকায় আমরা গিয়েছি। মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি।”

তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, “মোস্তফা (এড. সিরাজুল মোস্তফা) একটা স্পিডবোট যোগাড় করেছিলেন। ত্রাণ সামগ্রী গ্রুপ করে ভাগ করে দিতাম। তখনকার সরকার ছিল বিএনপি। খালেদা জিয়ার ঘুমই ভাঙেনি বিপদ বাংলাদেশের ওপর এসেছে।”

“তখন থেকে লক্ষ্য ছিল, কক্সবাজার এত বড় সম্পদ আমাদের, এটাকে কাজে লাগাতে হবে। কক্সবাজারবাসীর জীবনের পরিবর্তন আনতে হবে। বিশাল সমুদ্রের সম্পদ সেই সম্পদ আর্থসামাজিক উন্নয়নে আমরা কাজে লাগাবো।”

প্রধানমন্ত্রী বিমানবন্দর উন্নয়ন কাজের বর্ণনা তুলে ধরে বলেন, “আজকে কক্সবাজার ঘিরে ব্যাপক কর্মসূচির আয়োজন করেছি। কক্সবাজারের সাথে সমগ্র বাংলাদেশের যোগাযোগ হয় সেই ব্যবস্থাও করে দিচ্ছি। এখানে আন্তর্জাতিকমানের এয়াপোর্টই শুধু হচ্ছে না। ঢাকা, সিলেট, যশোর, সৈয়দপুর, রাজশাহী, বরিশালসহ যেখানে এয়ারপোর্ট আছে সেখানের সাথে যাথে কক্সবাজারের যোগাযোগ হয় সেই ব্যবস্থা পর্যায়ক্রমে নেব। এই বিমানবন্দর হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর, সর্বশ্রেষ্ঠ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থান আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে কক্সবাজার। এই কক্সবাজারই প্রাচ্য থেকে পাশ্চাত্যে যাওয়ার সেতুবন্ধন রচনা করবে। এখান থেকেই রিফুইলিং হবে। পর্যটকদের যেমন আকর্ষণ করবে তেমনি সকল বিমান রিফুইলিং করেই তারা যাবে। সেভাবে আমরা এ অঞ্চলটা গড়ে তোলতে চাই।”

মহেশখালীতে বিদ্যুৎপ্রকল্প, গভীর সমুদ্রবন্দরসহ মেগা প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “মহেশখালীর মানুষের লবণ, চিংড়ি চাষ এবং মাছধরা ছাড়া কিছুই ছিল না। আজকে সেই অঞ্চল সম্পূর্ণ পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের ঘর তৈরি করা, কাজের ব্যবস্থা করে দেয়া হচ্ছে। চাষীরা যাতে আধুনিক পদ্ধতিতে লবণ চাষ করতে পারে সেই ব্যবস্থাও আমরা নিচ্ছি।”

জলবায়ু উদ্বাস্তুদের বর্ণনা তুলে ধরে তিনি বলেন, “১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে যারা ঘরবাড়ি হারিয়ে বস্তি নিয়েছিল তাদের জন্য খুরুশকুলে ফ্ল্যাট বাড়ি তৈরী করে দিচ্ছি। পাশাপাশি একটি আধুনিক শুটকিপল্লীও করে দেব। যেটি মানুষ দেখতে যাবে।”

পর্যটনশিল্পের চিত্র তুলে ধরে তিনি শেখ হাসিনা বলেন, “সাবরাংয়ের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে। বিশাল সমুদ্র সৈকতকে পর্যটকদের কাছে আরো আকর্ষণ করতে ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশের পর্যটকদের জন্য যেমন ব্যবস্থা থাকবে, তেমনি বিদেশী পর্যটকদের জন্য আমরা বিশেষ এলাকা পর্যটন কেন্দ্র করে দেব। যেখানে বিদেশীরা তাদের মতো আসতে পারবে। আমরা কয়েকটি জায়গা সুনির্দিষ্ট করেছি, সেখানে আমরা উন্নয়নটা করে দিব।”

“আমাদের সোনাদিয়া চমৎকার একটা দ্বীপ। সেখানে ইকোপার্ক করে দেব। পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে উন্নত হবে। কক্সবাজারের কোন অংশ বাদ যাবে না।”

প্রধানমন্ত্রী সামগ্রিক যোগাযোগের পরিবর্তনের চিত্রও তুলে ধরেছেন তাঁর বক্তব্যে, “আমরা যখন মেরিন ড্রাইভের কাজ প্রথমবার শুরু করেছিলাম, সেই মেরিন ড্রাইভ করে করে দিয়েছি। মেরিন ড্রাইভ কক্সবাজার থেকে মিরসরাই পর্যন্ত হবে। এটি আনোয়ারা, বাঁশখালী হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত সরাসরি সমুদ্রপাড় দিয়ে তৈরী করব। কিছু কিছু অংশে কাজ হয়েছে বাকী অংশটাও করে দেব।”

ভবিষ্যতে ক্রীড়া ক্ষেত্রে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক টুর্ণামেন্ট আয়োজনের প্রতিশ্রম্নতিও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক যত টুর্ণামেন্ট এখানেই যাতে অনুষ্ঠিত হতে পারে এ জন্য ফুটবল, হকি, ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পদক্ষেপ নিয়েছি। পাশাপাশি বিরাট কনভেশন সেন্টারও হবে। আন্তর্জাতিক যত অনুষ্ঠান কক্সবাজারে যেন করতে পারি যেভাবেই আমরা এগোচ্ছি। এটা ঘিরে বাংলাদেশের উন্নয়ন আরো গতিশীল হবে। আন্তর্জাতিকভাবে মর্যাদাশীল হবে।”

রেললাইনের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “দীর্ঘদিনের একটা দাবি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার হয়ে ঘুনধুম পর্যন্ত সম্প্রসারিত হবে। আধুনিক রেলস্টেশন হয়ে যাচ্ছে। যা কিছু হচ্ছে অত্যন্ত আধুনিক। কক্সবাজারের মানুষের যাতে আর কোন দুঃখ না থাকে। একবার কক্সবাজার আসব, সকলের সঙ্গে আবার দেখা হবে।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “কক্সবাজার দীর্ঘদিন অবহেলিত একটি এলাকা। সেই এলাকায় এখন বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে। বাজেটের বিশাল অঙ্কের টাকা আমরা এখানে ব্যয় করছি। সেটা এই কারণে, আমি নিজে দেখেছি সেই ছোট বেলা থেকে। এই অঞ্চলের মানুষের দুঃখ, কষ্ট। সমগ্র বাংলাদেশব্যাপী উন্নয়ন করছি কিন্তু এই জায়গাটা আধুনিক একটা নগর গড়ে তোলা।”

“আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। বাংলাদেশের প্রতিটি ঘর আলোকিত করেছি, শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়েছি। কোন মানুষ গৃহহারা থাকবে না। আমার বাবা সারাটা জীবন এদেশের মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছিলেন। বাবার কাছ থেকে যেভাবে বর্ণনা শুনতাম, যেভাবে তিনি বাংলাদেশকে উন্নত করবেন ঠিক সেই কাজগুলো করে যাওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছি। তারই সুফল আজ দেশবাসী পাচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা ধরে রেখেই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।”

এর আগে চৈত্রের পড়ন্ত বিকেলে ঘড়ির কাটা তিনটা পেরিয়ে চারটা ছুঁই ছুঁই ‘জয় বাংলা’ সেস্নাগানে মানুষের স্রোত নামে সৈকতে। আকাশে তখন উড়ছিল রঙবেরঙে ঘুড়ি। সূর্য পশ্চিমের নীল সাগরে ডুব দিতেই লোকারণ্য হয়ে উঠে সৈকতের বালিয়াড়ি। সমবেত জনতার উচ্ছ্বাস। সমবেত মানুষ সাজানো স্টলে সরকারি বিভিন্ন সেবা ও উন্নয়ন সম্পর্কে ধারণা নেন।
এই আয়োজনের শুরুটা সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে শুর হয়েছিল সকাল নয়টায় শুরু হয়ে চলে দেড়টা পর্যন্ত। তবে মূল আকর্ষণ ছিল সন্ধ্যা ৬.৪০ মিনিটে। প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা ভাচুর্য়ালি অনুষ্ঠানে যোগদানের জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিশু শিল্পীদের পরিবেশনায় বেজে ওঠে জাতীয় সংগীত। এরপর মুখরিত হয়ে উঠে জয় বাংলা শ্লোগানে।

অর্থমন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিনের স্বাগত বক্তব্যের পরপরই। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ডা. আহমদ কায়কাউস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের চিত্র তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন, অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মোস্তফা কামাল, ভুমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, নৌপরিবহনমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বেসামরিক বিমান ও পযর্টন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, জ্বালানি খনিজ ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।

অতিথিদের বক্তব্যের পর উপকারভোগীদের সাথে কথা বলেন তিনি। এসময় উপস্থাপনায় থাকা কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার আসার আমন্ত্রণ জানালে, তিনি তাঁর উদ্দেশ্য বলেন, “তোয়ার লাই আত্তুন পেট পুরে।”

প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার বক্তব্যের পর আতশবাজির ঝলক, দেশবরেণ্য নৃত্যশিল্পী শিবলী মোহাম্মদ ও শামীম আরা নিপা পরিবেশনা, ফুয়াদ এন্ড ফ্রেন্ডস এবং চিরকুট ব্যান্ডের সুরের ইন্দ্রজালে বুঁদ হয়ে ছিল সমবেত মানুষ।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888