শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০৪ অপরাহ্ন
বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম চেয়ারম্যান। মহান মুক্তিযুদ্ধে চকরিয়া সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা।লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সফল চেয়ারম্যান। তিনি এরশাদের গুন্ডা বাহিনির রক্তচক্ষু কে উপেক্ষা করে বিপুল ভোটের ব্যবধানে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।
৭৫পরবর্তী জিয়া এরশাদ এর সময়ে ৭২থেকে ৭৫পর্যন্ত যারা বিভিন্ন সুবিধায় ছিলো তারা আরও অধিক সুবিধার বাসনায় খন্দকার মুস্তাক, জিয়া এরশাদ এর পদলেহনে ব্যস্ত সেই সময়ে তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ কে পরম যন্তে বুকে লালন করেছেন। যে ক’জন আওয়ামীলীগ নেতা এতিম আওয়ামীলীগ কে শত বাধা-বিপত্তির মধ্যে সাহসের সহিত বৃহত্তর চকরিয়া উপজেলার হাল ধরে ছিলেন। এর অন্যতম নেতা হলেন নুরুল আলম চেয়ারম্যান। জিয়া এরশাদ এর সময়ে শতো প্রলোভনে তাঁকে আওয়ামীলীগ ছাড়া করতে পারেননি।
খুনি জিয়ার সময়ে যখন ঘরোয়া রাজনীতি শুরু হলো তখন জোহোরা তাজউদ্দীন, বেগম সাজেদা চৌধুরী, বেগম মতিয়া চৌধুরী তত্তাবধানে চকরিয়া পাইলট হাইস্কুলের (বর্তমানে চকরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়) বারান্দায় জনাকীর্ণ কর্মী সভায় যখন কেউ দায়িত্ব নিতে অপারগ সেই সময় নুরুল আলম চাচা ও পেকুয়ার এডভোকেট কামাল হোসেন চরম সাহসিকতায় আওয়ামীলীগের সভাপতি -সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন।
নুরুল আলম চেয়ারম্যান কে আমি চাচা ডাকি, আওয়ামীলীগের ২১বছরের ক্ষমতা বিহিন সময়ে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসাবে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
আজ তাঁকে খুব বেশি মনে পড়ছে, আমি ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তার পরামর্শ মেনেই কাজ করেছি। তিনি আমাকে কোন ভুল -বিভ্রান্তি মূলক পরামর্শ দেন নি।
আজ খুব মনে পড়ে নুরুল আলম চাচা যখন চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চিলেন,তখন আমি রাজনৈতিক কাজে ঢাকা,ছাত্রলীগ নেতা শামীমুল ইসলাম পাপেল থেকে খবর পাই তিনি অসুস্থ, মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়লছেন, চট্টগ্রামের একটা ক্লিনিকে,আমি সাথে সাথে ঢাকার কাজ ফেলে ছুটে আসি চট্টগ্রামে। চট্টগ্রাম এসে খোঁজ নিয়ে হাসপাতালে তাঁকে দেখতে যাই।
আমাকে দেখে তিনি খুব খুশি হয়েছিলেন, এবং আমার হাত চেপে ধরে আমার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলেন অনেকক্ষণ। তখন তিনি কথা বলতে পারেন না,বল্লেও কথা অস্পষ্ট ও জড়িয়ে যায়।
তিনি আমার হাত চেপে ধরাকে আমি বুঝে নিয়েছিলাম যতই বিপদ- বিপত্তি আসুক না কে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে যেনো সরে নাই,বঙ্গবন্ধু -শেখ হাসিনার রাজনৈতিক আদর্শে যেন অবিচল থাকি।
তিনি একজন সফল পিতা,তাঁর জ্যেষ্ঠ সন্তান একজন সফল আদর্শবাদী সরকারি কলেজের অধ্যাপক, মেজো সন্তান ইখতিয়ার উদ্দিন বায়েজিদ আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর উর্ধতন কর্মকর্তা আর কনিষ্ঠ সন্তান আওরঙ্গজেব মহিউদ্দিন বুলেট পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। দুই কন্যার মধ্যেও একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অপরজন গৃহিণী।
আজ এ-ই মহান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম চেয়ারম্যান চাচার ৫ম মৃত্যু বার্ষিকী তে তাঁকে সশ্রদ্ধ সালাম ও শ্রদ্ধা।
দোয়া করি আল্লাহ যেনো নুরুল আলম চাচা কে জান্নাতুল ফেরদৌসে নসিব করেন। আমেন।
২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ইংরেজি।
কক্সবাজার।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply