শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৪ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে মাদক ও অস্ত্রপাচারসহ নানা অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠা ‘আলোচিত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নবী হোসেনকে ধরিয়ে দিতে ১০ লাখ টাকার পুরুস্কার’ ঘোষণা দিয়ে পোস্টারিং করেছে বিজিবি।
পোস্টারে ‘অস্ত্র হাতে থাকা নবী হোসনের’ একটি ছবি ছাপিয়ে বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এবং কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা ও উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকার নানা স্থাপনায় সাটাই করা; এ ধরণের পোস্টারিং দেখা গেছে।
রোহিঙ্গা কোন অপরাধীকে ধরিয়ে দিতে আইন-শৃংখলা বাহিনীর কোন সংস্থার এ ধরণের ঘটনা দেশে এটিই প্রথম।
বিজিবির দাবি, সীমান্তে মাদক ও অস্ত্রপাচারসহ নানা চোরাকারবারের অন্যতম হোতা রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নবী হোসেন। তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। তাকে ধরা সম্ভব হলে সীমান্তে সংঘটিত অপরাধ প্রবনতা অনেকাংশে নিয়ন্ত্রিত হবে।
রোববার রাত সাড়ে ৯ টায় এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজিবির কক্সবাজার ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী হোসাইন কবির।
নবী হোসেনকে রোহিঙ্গা নাগরিক বলে দাবি করলেও তার অবস্থান মিয়ানমারে নাকি বাংলাদেশে এ ব্যাপারে নিশ্চিত তথ্য দিতে পারেনি বিজিবি।
সীমান্তের স্থানীয় বাসিন্দা ও বিজিবির সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নবী হোসেনকে ধরিয়ে দিতে ১০ লাখ টাকা পুরুস্কার ঘোষণা সম্বলিত বিজিবির পক্ষ থেকে পোস্টার ছাপানো হয়। শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এবং উখিয়া উপজেলার পালংখালীসহ বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় সাটানো হয় এসব পোস্টার। যা স্থানীয়দের নজরে আসার পর থেকে নানা মহলে আলোচনার সৃষ্টি হয়।
লে. কর্নেল মেহেদী হোসাইন কবির বলেন, নবী হোসেন একজন চিহৃিত মাদকপাচারি ও ইয়াবা সম্রাট। এছাড়া সে নাফ নদীতে জেলেদের মাছ লুট ও চাঁদাবাজীসহ নানা অপরাধে জড়িত।
” নবী হোসনেকে ধরতে ১০ লাখ টাকার পুরুস্কার ঘোষণা দিয়ে বিজিবি একটি পোস্টার ছাপিয়েছে। এ ধরণের পোস্টার সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় বিজিবি সাটিয়ে দেয়। “
বিজিবির এ কর্মকর্তার ভাষ্য, ” সীমান্ত দিয়ে নবী হোসেনের মাধ্যমেই সবচেয়ে বেশী ইয়াবার চালান পাচার হয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে মজুদ হয়। সম্প্রতি উখিয়া সীমান্তে গোলাগুলির পর তার গোপন আস্তান থেকে ক্রিস্টাল মেথ আইসের সবচেয়ে বড় চালান উদ্ধার করা হয়। এছাড়া সে অস্ত্রপাচার, অপহরণ ও ডাকাতিসহ নানা অপরাধে জড়িত।এসব অভিযোগে নবী হোসেনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। “
মেহেদী হোসাইন কবির বলেন, ” সীমান্তে মাদক ও অস্ত্রপাচারসহ নানা চোরাকারবারের অন্যতম হোতা নবী হোসেন। তাকে ধরা সম্ভব হলে সীমান্তে অপরাধ প্রবনতা অনেকখানি কমে যাবে। তার নেতৃত্বে অপরাধীদের রয়েছে বড় একটি সংঘবদ্ধ দল। “
তাই বড় ধরণের অপরাধী নবী হোসেনকে ধরতে বিজিবি পোস্টার সাটাই করে পুরুস্কারের ঘোষণা দিয়েছে বলে জানান তিনি।
বিজিবির কর্মকর্তা মেহেদী হোসাইন কবির বলেন, ” ধরিয়ে দিতে পুরুস্কার ঘোষিত সন্ত্রাসী নবী হোসেন সীমান্তে অপরাধ সংঘটন করলেও তার অবস্থান মিয়ানমারে নাকি বাংলাদেশে; বিজিবি এখনো নিশ্চিত নয়। তবে তা নিশ্চিত হতে বিজিবি কাজ করছে। তাকে ধরা সম্ভব নানা তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হবে। “
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply