শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩১ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ
সিনহা হত্যা মামলায় আদালতে রায় ঘোষণার পর কারাগারে নেওয়ার পথে মৃত্যুদন্ডের সাজাপ্রাপ্ত পুলিশের বরখাস্ত পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে প্রিজন ভ্যানে দন্ডাদেশ পাওয়া অপর তিন আসামি কর্তূক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।
এর আগে রায় ঘোষণা শেষে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের আদালত থেকে প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় তাদের স্বজনরা আইনজীবীদের বিশ্রাম কক্ষে ভাংচুর চালানোরও রয়েছে অভিযোগ।
মঙ্গলবার রাতে কক্সবাজার আদালত পুলিশ ও কারাগারের সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সোমবার (৩১ জানুয়ারী) বিকালে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। ্এতে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদন্ড এবং তিন পুলিশ সদস্যসহ ৬ জনকে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়। রায়ে নি:শর্তভাবে খালাস দেওয়া হয়েছে অপর ৭ জনকে।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হল, এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল রুবেল শর্মা ও এএসআই সাগর দেব এবং টেকনাফের স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আয়াজ ও নিজাম উদ্দিন।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, রায় ঘোষণার পর আদালতের কাঠগড়া থেকে আসামিদের প্রিজন ভ্যানে নিয়ে যাচ্ছিল দায়িত্ব পুলিশ সদস্যরা। এসময় আদালতটির আইনজীবীদের বিশ্রাম কক্ষের পাশে বারান্দায় আগে থেকেই অবস্থান করছিল আসামি পুলিশ সদস্যদের স্বজনরা।
“ আদালতের রায়ের খবরে আইনজীবীদের বিশ্রাম কক্ষের সামনের বারান্দায় অবস্থানকারি সাজাপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যের স্বজনরা কান্নাকাটি শুরু করেন। এক পর্যায়ে ক্ষুদ্ধ হয়ে তারা ( সাজাপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যের স্বজনরা ) সেখানকার আসবাবপত্র ভাংচুর চালায়। পরে সেখানে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা এগিয়ে এলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। ঘটনায় কয়েকটি টেবিল ও চেয়ার সহ কিছুসংখ্যক আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ”
কক্সবাজার কারাগারের একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, মঙ্গলবার বিকালে রায় ঘোষণার পর আসামিদের আদালত থেকে প্রিজন ভ্যান যোগে কক্সবাজার কারাগারে যাওয়া হচ্ছিল। পথিমধ্যে গাড়ীতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত টেকনাফের স্থানীয় বাসিন্দা তিন আসামি মিলে মামলার প্রধান অভিযুক্ত ও মৃত্যুদন্ডের সাজাপ্রাপ্ত আসামি সাবেক পরির্দশক লিয়াকত আলীকে বেদড়ক মারধর করে। এতে লিয়াকত আলীর শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন।
কারাগারে পৌঁছার পর গাড়ীতে নামানোর সময় লিয়াকত আলীকে আঘাতপ্রাপ্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে খোঁজ-খবর নেওয়ার পর মারধর করার ঘটনাটি নিশ্চিত হন বলে জানান সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র।
তবে এ ব্যাপারে কক্সবাজার আদালত পুলিশ ও জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্টদের কথা বলা হলেও কেউ সত্যতা স্বীকার করেননি।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply