বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০১ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তরের উদ্দ্যেশে কক্সবাজারের আশ্রয় শিবির থেকে আরও ৭০৫ জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে ১৬ টি বাস উখিয়া ছেড়েছে।
বুধবার দুপুর ২ টা ও বিকাল ৫ টায় উখিয়া ডিগ্রী কলেজ মাঠ থেকে বাসগুলো রওনা দেয় বলে জানান অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. সামছু-দৌজা নয়ন।
এই ৭০৫ জনসহ এ পর্যন্ত নবম দফায় মোট ১৯ হাজার ৮৪৮ জন রোহিঙ্গাকে কক্সবাজার থেকে ভাসানচর নেওয়া হলো।
এর আগে অষ্টম দফা পর্যন্ত ভাসানচর নেওয়া হয় ১৯ হাজার ১৪৩ জন রোহিঙ্গা।
গত ৪ ডিসেম্বর কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরগুলো থেকে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের কার্যক্রম শুরু হয়।
শুরুতে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের কার্যক্রম নিয়ে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরসহ বাস্তুচ্যুত এ জনগোষ্ঠীর মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল। তবে দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার পর ৯ অক্টোবর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সহায়তা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হওয়ার সম্মতি প্রকাশ করে সরকারের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করে ইউএনএইচসিআর।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের আগে ছয় দফায় ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর করা হয়। এরপর আরও দুই দফা স্থানান্তর হয়েছে। অষ্টম দফায় ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছিল ৫৫২ জন।
সর্বশেষ নবম দফায় দুই ধাপে বুধবার নেওয়া হলো ৭০৫ জন।
গত বছর সরকার সিদ্ধান্ত নেয় এক লাখ রোহিঙ্গাকে কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরগুলো থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তর করা হবে। এই উদ্দ্যেশে সরকার ভাসানচরে বাসস্থানসহ অবকাঠামোগত নানা ধরণের অবকাঠামো গড়ে তোলে।
সামছু-দৌজা বলেন, বুধবার দুপুরে নবম দফায় প্রথম ধাপে উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরগুলো থেকে ভাসানচরে স্থানান্তরের জন্য উখিয়া ডিগ্রী কলেজ মাঠ থেকে ৮ টি বাসে ৪১৪ জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দ্যেশে রওনা দেয়। বিকালে নবম দফায় দ্বিতীয় ধাপে আরও ২৯১ জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে ৮ টি বাস রওনা দেয়। এসব রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাসগুলো প্রথমে চট্টগ্রাম যাবে। সেখান থেকে তাদের ভাসানচরে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা হবে।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার বলেন, “ উখিয়া ডিগ্রী কলেজ ক্যাম্পাসে স্বেচ্ছায় ভাসানচর যেতে আগ্রহ প্রকাশকারি রোহিঙ্গাদের জন্য একটি অস্থায়ী বুথ খোলা হয়েছে। সেখানে স্বেচ্ছা যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের নাম নিবন্ধন করা হচ্ছে। শুধু মাত্র স্বেচ্ছায় যেতে ইচ্ছুক নিবন্ধিত রোহিঙ্গাদের নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সামছু-দৌজা জানান, চট্টগ্রামের উদ্দ্যেশে রওনা দেওয়া বাসগুলোর আগে ও পিছনে পুলিশের কড়া পাহারা ছিল। এছাড়া রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত সরকারি কর্মকর্তাদের বহনকারি কয়েকটি গাড়ীও সঙ্গে রওনা দেয়।
বুধবার রাতে বিভিন্ন আশ্রয় শিবির থেকে ভাসানচর যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের উখিয়া ডিগ্রী কলেজ ক্যাম্পাসে নিয়ে আসা শুরু হয়। এ নিয়ে উখিয়া ডিগ্রী কলেজ ক্যাম্পাসহ আশপাশের এলাকায় আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের নিরাপত্তা জোরদার ছিল বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply