সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১৭ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজারে পর্যটক নারীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ মামলায় এজাহারভূক্ত সর্বশেষ পলাতক আসামি মেহেদী হাসান বাবুকে গ্রেপ্তার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
এ নিয়ে মামলায় এজাহারভূক্ত ৪ জন এবং সন্দেহভাজন ৩ জন গ্রেপ্তার হল।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দীন আহমেদ জানান, সোমবার রাত সাড়ে ৮ টায় কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকূল ইউনিয়নের রুহুলার ডেইল ঘোনাপাড়ার পাহাড়ী এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
গ্রেপ্তার মেহেদী হাসান বাবু (২৫) কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে। সে মামলার এজাহারভূক্ত ২ নম্বর আসামি।
মেহেদীকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে মামলার এজাহারভূক্ত সব আসামি গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।
মামলার প্রধান আসামি আশিকুল ইসলাম আশিক (২৮) কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া এলাকার মৃত আব্দুল করিমের ছেলে।
আশিককে গত ২৬ ডিসেম্বর রাতে মাদারীপুর থেকে আত্মগোপন অবস্থায় গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তাকে ঢাকায় নেওয়ার পর আদালতে প্রেরণ করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সোমবার সকালে আশিককে ঢাকা থেকে কক্সবাজার কারাগারে আনা হয়েছে। পরে দুপুরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার শুনানী অনুষ্টিত হবে।
ইতিপূর্বে মামলায় গ্রেপ্তার ৬ আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
গত ২২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্ট থেকে ২৫ বছর বয়সী এক পর্যটক নারীকে তুলে নিয়ে স্বামী-সন্তানকে জিন্মি করে কয়েক দফা ধর্ষণের অভিযোগ উঠে স্থানীয় একটি অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় পরদিন ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ করার পাশাপাশি অজ্ঞাত পরিচয়ের আসামি করা হয় আরো তিনজনের বিরুদ্ধে। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক রুহুল আমিনকে।
মহিউদ্দীন বলেন, সোমবার রাতে মামলার সর্বশেষ পলাতক আসামি মেহেদী হাসান বাবু কক্সবাজার উপজেলার খুরুশকূল ইউনিয়নের এক পাহাড়ী এলাকায় আত্মগোপন থাকার খবর পায় পুলিশ। পরে পুলিশের একটি দল বিশেষ কৌশলে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
এ নিয়ে মামলার এজাহারভূক্ত ৪ জন এবং সন্দেহভাজন ৩ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানান ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
মহিউদ্দিন জানান, ইতিপূর্বে মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের প্রত্যেককে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply