শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৪ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : উখিয়ার সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষার্থীকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের কথা বলে অপহরণ করেছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী চক্র। চক্রটি বর্তমানে শিক্ষার্থীদের স্বজনদের কাছ থেকে মোবাইল ফোনে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে। ঘটনার অভিযোগ পাওয়ার পর থেকে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন।
অপহৃতরা হলো, রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পেচারদ্বীপের মংলা পাড়া এলাকার মোহাম্মদ কায়সার, মিজানুর রহমান নয়ন, জাহেদুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান। তাদের মধ্যে জাহেদুল সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে পড়ে। বাকিরা অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
এ ঘটনার জন্য শিক্ষার্থীর স্বজনরা জাহাঙ্গীর ও ইব্রাহীম নামের ২ রোহিঙ্গাকে অভিযুক্ত করছেন। অভিযুক্ত ২ জন টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ২৬ নং ব্লকের বাসিন্দা এবং , পেচারদ্বীপের বাতিঘর নামে একটি কটেজের কর্মচারী।
রামু থানার ওসি আনোয়ারুল হোসাইন জানান, শিক্ষার্থীদের বাড়ি রামু হলেও ঘটনাস্থল টেকনাফ। টেকনাফ থানার পুলিশকে সাথে অভিযান চালানো হচ্ছে।
টেকনাফ থানার ওসি (তদন্ত) আবদুল আলিম জানান, ৪ শিক্ষার্থীকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, পেচারদ্বীপের বাতিঘর নামে একটি কটেজের কর্মচারী জাহাঙ্গীর আলম ও মো. ইব্রাহীমের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় চার স্কুলছাত্রের। সে সুবাদে গত ৭ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে চারজনকে সেন্টমার্টিন বেড়াতে নেয়ার কথা বলে টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকায় নিয়ে যান জাহাঙ্গীর ও ইব্রাহীম। বেড়াতে যাওয়ার পর থেকে ওই চারজনের খোঁজ মিলছে না। ৮ ডিসেম্বর বুধবার রাতে স্বজনদের কাছে বিভিন্ন অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে তাদের মুক্তিপণ হিসেবে ২০ লাখ টাকা দাবি করা হচ্ছে। আর তা না পেলে মরদেহ ফেরত পাঠানোর হুমকি দেয়া হচ্ছে।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply