শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০২ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজার সদরের ঝিলংজায় মাদ্রাসা পড়ুয়া তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ‘দুই বন্ধু মিলে ধর্ষণের’ অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
কক্সবাজার সদর থানার ওসি শেখ মুনীর-উল-গীয়াস জানান, মঙ্গলবার রাতে ভূক্তভোগী ছাত্রীর মা বাদী হয়ে দুইজনকে আসামি করে মামলাটি নথিভূক্ত হয়েছে।
আসামিরা হল, কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের মহুরী পাড়ার সিরাজুল ইসলামের ছেলে কেফায়েত উল্লাহ (২০) এবং একই ইউনিয়নের কোনার পাড়ার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মো. ইমরান (১৯)।
ভূক্তভোগী মেয়েটি কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের মহুরী পাড়ার বাসিন্দা। তার বাবা দীর্ঘদিন রোগাক্রান্ত হয়ে বাড়ীতে শয্যায়ী এবং মা ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
মেয়েটি ঝিলংজা ইউনিয়নের লিংকরোডস্থ মুসলিম আদর্শ শিক্ষা নিকেতনের ( মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ) তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী।
মঙ্গলবার রাতে মামলা দায়ের হলেও গত বুধবার ( ১ ডিসেম্বর ) সন্ধ্যায় কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট সংলগ্ন উঠনি নামক এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় ভূক্তভোগী মেয়েটি গত ১ ডিসেম্বর রাতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে ভর্তি হয়। চিকিৎসা শেষে পরদিন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ীতে অবস্থান করছে।
মামলার এজাহারের বরাতে মুনীর-উল-গীয়াস বলেন, গত বুধবার ( ১ ডিসেম্বর ) সন্ধ্যায় মাদ্রাসা পড়ুয়া তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রীটি বাড়ী থেকে বের হয়ে পার্শ্ববতী ঝিলংজা ইউনিয়নের পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট সংলগ্ন উঠনি নামক এলাকার জনৈক ফরিদের দোকানে নাস্তা কিনতে যায়। নাস্তা কিনে ফেরার পথে স্থানীয় দুই যুবক ( পরস্পর বন্ধু ) জোর পূর্বক তাকে তুলে নিয়ে যায়।
” পরে স্থানীয় এক পরিত্যক্ত ঝুপড়ি ঘরে নিয়ে মেয়েটিকে দুইজন মিলে ধর্ষণ করে।এসময় মেয়েটির শোর-চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে ধর্ষণকারিরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা মেয়েটিকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে স্বজনদের খবর দেয় ” বলেন, ওসি।
ভূক্তভোগী মেয়েটির মা বলেন, ” স্থানীয়রা আমার মেয়েকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করার পর ঘটনার দিন রাতেই কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। পরদিন চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ী নিয়ে আসি। “
” আমি ও আমার দুই মেয়ে প্রতিবন্ধি। স্বাভাবিক থাকা মেয়েটি মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ালেখা করে। আমার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ হয়ে বাড়ীতে শয্যায়ী। আমি ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসারের হাল টানছি। “
অভিযুক্ত যুবকরা মামলা না করে ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার জন্য প্রভাবশালীদের মাধ্যমে চাপ দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ভূক্তভোগী মেয়েটির মা।
ওসি মুনীর-উল-গীয়াস বলেন, মঙ্গলবার বিকালে ঘটনায় ভূক্তভোগী মেয়েটির মা বাদী হয়ে অভিযুক্ত দুই যুবককে আসামি করে থানায় একটি এজাহার দেন। পরে ঘটনার ব্যাপারে প্রাথমিকভাবে খোঁজ খবর নিয়ে রাতেই মামলাটি নথিভূক্ত করা হয়েছে।
মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে জানান ওসি।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply