শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২১ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিবেদক : মহেশখালীতে দস্যুতা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরা যুবককে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার এড়াতে অপহরণ নাটক সাজিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি তিন সন্ত্রাসীর। র্যারের অভিযানে অবশেষে গ্রেপ্তার হয়েছেন তারা। গ্রেপ্তারকৃতদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে কালারমারছড়া ইউয়িনের নয়াপাড়ার পাহাড়ে পুঁতে রাখা অবস্থায় ১০টি অস্ত্র উদ্ধার করে র্যাব।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল খায়রুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার (২২ নভেম্বর) ভোর রাতে এ অভিযান পরিচালনা করে অস্ত্রগুলো উদ্ধার কর হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার কালারমারছড়ার ছামিরাঘোনা এলাকার মৃত মনছুর আলম প্রকাশ রসু ডাকাতের ছেলে রফিকুল ইসলাম প্রকাশ মামুন (২৮), চিকনীপাড়ার মনিরুল আলমের ছেলে মোহাম্মদ রিফাত (২৩) ও মোহাম্মদ শাহ ঘোনা এলাকার মৃত আব্দুল আলীর ছেলে আয়ুব আলী (৪০)।
র্যাব জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রফিকুল ইসলাম প্রকাশ মামুন দস্যু ফেরত আলাউদ্দিন হত্যা মামলার ১নং ও আয়ুব আলী ১২নং এজাহারনামীয় আসামি।
উদ্ধারকৃত গোলাবারুদের মধ্যে রয়েছে, ৪টি এক নলা বন্দুক, একটি থ্রি কোয়াটার বন্দুক, ৩টি এলজি, ১টি বিদেশী পিস্তল, ১টি ম্যাগজিন, ২ রাউন্ড তাজা গুলি ও ৫ রাউন্ড তাজা কার্তুজ।
এর আগে গত ৫ নভেম্বর দস্যুতা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরা আলাউদ্দিন (২৮) কে হত্যা করে সন্ত্রাসী। পরদিন নিহতের ভাই সুমন উদ্দিন বাদী হয়ে ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন। যার মামলা নং-০৫/৩১৩।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর সিপিসি কমান্ডার মেজর শেখ ইউসূফ আহমেদ জানান, ‘আত্মস্বীকৃত জলদস্যু আলাউদ্দিন হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনে ছায়াতদন্ত শুরু করে র্যাব। এর অংশ হিসেবে ২২ নভেম্বর সকাল ৭টায় বান্দরবানের লামার উপজেলার ফাইতং থেকে উক্ত হত্যাকান্ডের মূলহোতা রফিকুল ইসলাম মামুন ও তার সহযোগী রিফাতকে গ্রেপ্তার করি।’
‘তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত মামলার ১২ নম্বর আসামি আয়ুব আলীকে কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। এবং রফিকুল ইসলাম ও আয়ুব আলীর দেয়া তথ্যে ভিত্তিতে কালারমারছড়ার নয়াপাড়ার মুড়ারকাছা পাহাড়ে পুঁতে রাখা অবস্থায় ডাকাতি ও হত্যার কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করি।’
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল খায়রুল ইসলাম জানান, ‘মূলত আলাউদ্দিন হত্যা মামলার গ্রেপ্তার এড়াতে নিজেদের অপহরণ করা হয়েছে মর্মে নাটক সাজিয়েছিল। এ কারণে তারা লুকিয়ে ছিলেন। তাদের গ্রেপ্তারের ফলে হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচিত হয়েছে।’
লে. কর্ণেল খায়রুল ইসলাম জানান, ‘গ্রেপ্তার আসামীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে মহেশখালী থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’
এদিকে এ সন্ত্রাসীরা গ্রেপ্তার হওয়ায় স্থানীয় এলাকাবাসী সাধুবাদ জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত: আত্মস্বীকৃত জলদুস্য আলাউদ্দিন হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত আটজন গ্রেপ্তার হল।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply