শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০৮ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার পরবর্তি ধার্য্য দিন ২৯, ৩০ নভেম্বর ও ১ ডিসেম্বর সময় ধার্য্য করেছে আদালত। বুধবার মামলার ৬৫ তম সাক্ষি র্যাব ১৫ এর তদন্তকারি কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম এর জেরা চলাকালিন জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এ দিন ধার্য্য করেন।
তবে তদন্তকারি কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম এর জেরা এখনো শেষ হয়নি। পরবর্তি তারিখ আসামি পক্ষের অন্যান্য আইনজীবীরা জেরা করবেন। এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদুল আলম।
তিনি জানান, বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টায় জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে র্যাব ১৫ এর তদন্তকারি কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলামকে জেরা শুরু করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। দুপুর ২ টায় এক ঘন্টার জন্য আদালত বিরতি দেন। সন্ধ্যা ৫ টা পর্যন্ত কার্যক্রমে ১৩ জন আসামির আইনজীবী জেরা সমাপ্ত করেছেন। কিন্তু ২ জনের এখনো জেরা শেষ হয়নি।
তিনি জানান, অসমাপ্ত জেরা শেষ হওয়ার পর আদেশের জন্য আদালতে অন্যান্য কার্যক্রম শুরু হবে।
আসামি পক্ষের আইনজীবী রানা দাশদপ্ত জানান, মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তার সাক্ষ্য প্রদান এবং জেরা শেষে আর কোন সাক্ষির সাক্ষ্য গ্রহষের প্রয়োজন হয় না। এর পর আসামিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সহ আদেশের জন্য আদালতের অন্যান্য কার্যক্রম শুরু হবে।
গত ২৩ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া সাক্ষ্য প্রদান সপ্তম দফা পর্যন্ত মোট ৬৫ সাক্ষ্য প্রদান করলেন।
বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টায় কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে মামলার ১৫ আসামিকে প্রিজেন ভ্যান করে কড়া পুলিশ পাহারায় আদালতে আনা হয়।
গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
এ ঘটনায় গত বছর ৫ আগস্ট সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় লিয়াকত আলীকে। আদালত মামলার তদন্ত ভার দেয়া হয় র্যাবকে।
গত বছর ১৩ ডিসেম্বর র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ানের তৎকালীন দায়িত্বরত সহকারি পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
গত ২৭ জুন আদালত ১৫ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এতে সাক্ষি করা হয় ৮৩ জনকে।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply