শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০২ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : লাখো মানুষের সম্মিলনে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে সম্পন্ন হল দেবী দূর্গার বিসর্জন। এই বিসর্জন অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ভিন্ন আমেজের উৎসবস্থলে সৈকতের বালিয়াড়ি। আর সকলের প্রত্যাশা ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। প্রত্যয় ব্যক্ত হল বাংলাদেশের আকাশ থেকে সাম্প্রদায়িকতার কালো মেঘ রুখে দেয়ার।
সরেজমিনে দেখা যায়, সৈকতের লাবণী পয়েন্টে বিকাল গড়াতেই একে একে আসতে থাকে বিভিন্ন পূজামন্ডপের প্রতিমা। আর প্রতিমাগুলোকে ঘিরে বিদায়ী আরতির মাধ্যমের আরাধনায় মেতে ভক্ত-পূজারীরা। এবারের পূজা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে পারায় আনন্দিত তারা।
কক্সবাজারের সাংস্কৃতিক সংগঠক বিশ্বজিত পাল জানান, কক্সবাজারে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূজা শেষ হয়েছে। এতে এই জেলায় সম্প্রতির বন্ধনের অটুলের বিষয়টি ফের প্রমাণিত হল।
পূজারী মৌসুমী পাল জানান, বিচ্ছিন্ন ঘটনার কারণে কিছুটা ভয় থাকলেও শেষ পর্যন্ত পূজা শেষ হয়েছে এটাই আনন্দের। লাখো মানুষের ভীড়ে প্রতিমা বিসর্জন ভিন্ন এক উৎসবের।
বিজয়ার মঞ্চে দাঁড়িয়ে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে জাতি-ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান জনপ্রতিনিধি, রাজতৈনিক নেতা, প্রশাসনেরর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার নেতৃবৃন্দ। যেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হেলালুদ্দিন আহমেদ, বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, ট্যুারিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মহিউদ্দিন আহমদ, কেন্দ্রিয় আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, জেলা জাসদের সভাপতি নাঈমুল হক চৌধুরী প্রমুখ।
পেকুয়ায় সংঘটিত বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া জেলায় শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমূখর পরিবেশে এবারে দূর্গোৎসব সম্পন্ন হওয়ায় সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এডভোকেট রনজিত দাশ। তিনি জানান, কক্সবাজার সৈকতের বিজয়া অনুষ্ঠানে ৪ শতাধিক প্রতিমা সাগরে বিসর্জিত হয়েছে। যা দেশের সবচেয়ে বৃহৎ প্রতিমা বিসর্জন উৎসব।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply