শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০০ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : চকরিয়ায় আদালতের আদেশে ‘স্থায়ীভাবে স্ত্রী ও পিতৃত্বের’ স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছেন এক তরুণী এবং তিন মাস বয়সী এক নবজাতক; এতে আসামীকে জেলখানায় বাদীর সঙ্গে বিয়ে সম্পাদন করে জামিনে মুক্তি দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদীর আইনজীবী মো. মিজবাহ উদ্দিন জানান, সোমবার দুপুরে চকরিয়া জেষ্ঠ্য বিচারিক হাকিম রাজীব কুমার দেব এর আদালত এই আদেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামী দিদারুল ইসলাম ওরফে শকু চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের খাসপাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ কালুর ছেলে।
বাদী সেলিনা বেগম চকরিয়ার একই ইউনিয়নের বাজার পাড়ার বাসিন্দা আকতার আহমদের মেয়ে। তার ৩ মাস বয়সী এক নবজাতক সন্তান রয়েছে।
মামলার এজাহারের বরাতে আইনজীবী মিজবাহ উদ্দিন বলেন, গত ২ বছর আগে দিদারুল ইসলাম ওরফে শকু ও সেলিনা বেগমের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে তাদের সম্পর্ক ঘনিষ্ট রূপ নেয়।
“ এতে প্রেমিক দিদারুল ইসলাম কাবিননামা সম্পাদন করে সেলিনাকে বিয়ের আশ্বাস দেন। এক পর্যায়ে তারা চকরিয়ার স্থানীয় এক ভাড়া বাসায় স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস শুরু করে। এতে সেলিনা অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়ে। ”
বাদীর আইনজীবী বলেন, “ সেলিনা বেগম অন্ত:সত্ত্বা হওয়ার তিন মাস পরে প্রেমিক দিদারুল ইসলামকে কাবিননামা সম্পাদন করে বিয়ের জন্য চাপ দেন। এতে অস্বীকৃতি জানিয়ে এক পর্যায়ে সে (দিদারুল) যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। ”
“ পরে গত বছর ২০ মে সেলিনা বেগম বাদী হয়ে স্ত্রীর স্বীর স্বীকৃতির দাবিতে প্রেমিক দিদারুল ইসলাম আসামী করে চকরিয়া জেষ্ঠ্য বিচারিক হাকিম আদালতে মামলা দায়ের করে। এরই মধ্যে গত ৩ মাস আগে সেলিনার কোল জুড়ে আসে এক নবজাতক সন্তান। পরে এ বিষয়টিও আদালতকে অবহিত করা হয়। ”
ওই মামলায় পুলিশ গত ৩০ জুন পুলিশ দিদারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে বলে জানান আইনজীবী মিজবাহ।
তিনি বলেন, মামলার শুনানীর নির্ধারিত দিনে আদালতের বিচারক আসামী দিদারুল ইসলামকে জামিনে মুক্তি দিয়ে বাদী সেলিনার সঙ্গে কারাগারে ধর্মীয় রীতি মতে বিয়ের আয়োজনের কক্সবাজার জেল সুপারকে আদেশ দিয়েছেন। পরে জেল সুপার কর্তৃক বিষয়টি আদালতকে অবহিত করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে মামলায় আদালতের আদেশ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বাদী সেলিনা বেগম।
সেলিনা বলেন, আদালতের আদেশে সন্তানের পিতৃত্ব ও তার স্ত্রীর স্বীকৃতি পাওয়ায় মহাখুশি হয়েছেন। এজন্য আদালতের বিচারক ও আইনজীবীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এতো অল্প সময়ের মধ্যে এ ধরণের যুগান্তকারি আদেশ পাবেন কল্পনাও করতে পারেননি বলে মন্তব্য করেন ভূক্তভোগী এ নারী।
আদেশের ব্যাপারে কক্সবাজার জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক মো. মোকাম্মেল হোসেনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগযোগের চেষ্টা করেও সাড়া না দেয়ায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply