শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৬ অপরাহ্ন
বিডিনিউজ : পাঁচ বছর আগে চট্টগ্রামে মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার স্বামী সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই।
এ তদন্ত সংস্থার প্রধান, পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক বনজ কুমার মজুমদার বুধবার ঢাকার ধানমন্ডিতে পিবিআই সদরদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “মিত্যু হত্যার সঙ্গে স্বামী বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে। এ জন্য তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।”
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় সড়কে খুন হন পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু।
পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সদরদপ্তরে যোগ দিতে ওই সময় ঢাকায় ছিলেন বাবুল। তার ঠিক আগেই চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশে ছিলেন তিনি।
হত্যাকাণ্ডের পর নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন বাবুল আক্তার নিজেই।
সেই মামলায় বাবুলের বন্ধু সাইফুল হক এবং আল মামুন নামে আরেকজন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন জানিয়ে বনজ কুমার মজুমদার বলেন, “এসব ঘটনা বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত হওয়া যায় যে বাবুল আক্তারই তার স্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনাকারী এবং নির্দেশদাতা।”
পিবিআইয়ের সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, হত্যার সঙ্গে ‘সরাসরি সম্পৃক্ত’ কামরুল শিকদার মুসা ছিলেন বাবুলের ঘনিষ্ঠ ‘সোর্স’।
“হত্যার ঘটনার পর থেকে তার ব্যাপারে কোনো তথ্য বাবুল আক্তার দেননি; পরে প্রযুক্তির মাধ্যমে মুসার সম্পৃক্তার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।”
পিবিআই প্রধান বলেন, “মুসা এখনও গ্রেপ্তার হননি। তাকে আমরা খুঁজছি।”
মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলী এলাকায় পিবিআই মেট্রো অঞ্চলের কার্যালয়ে তদন্তকারীদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখী হন বাবুল আক্তার। এক সময় তিনি চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশে উপকমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন।
অনেক রাত অবধি বাবুলকে পিবিআই অফিসে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের পর রাতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে খবর আসে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে।
তবে সরাসরি কোনো মন্তব্য না করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই মেট্রো অঞ্চলের পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা রাতে বলেছিলেন, বুধবার তারা এ বিষয়ে কথা বললেন।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply