বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৪ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতের হিমছড়ি পয়েন্টের আগে ভেসে এসেছে মৃত একটি তিমি। এটা এক নজর দেখতে স্থানীয়রা ছুটে আসছেন আশপাশ থেকে।
শুক্রবার (৯ এপ্রিল) দুপুর ১ টার দিকে সাগরের পানিতে মৃত অবস্থায় ভাসমান দেখে স্থানীয়রা। পরে স্থানীয়রা বনবিভাগ এবং পরিবেশ অধিদফতরে খবর দেয়।
স্থানীয় বাসিন্দা নুর নবী জানান, ‘লোকমুখে শুনে আমি সৈকতে গিয়ে দেখলাম মৃত তিমিটি পঁচে গেছে। দুর্গন্ধও ছড়াচ্ছে। এর গায়ের রং লালচে হয়ে গেছে। সম্ভবত কয়েকদিন আগে তিমিটি মারা গেছে। তিমিটির পেছনের দিকের অংশে বড় ধরনের ক্ষত রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, গভীর সাগরে মাছ ধরার জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তিমিটি মারা যেতে পারে। পরে ভাসতে ভাসতে সৈকতে এসেছে। মৃত তিমিটি থেকে প্রচন্ড দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এ কারণে তিমিটি আরো কয়েকদিন আগে মারা পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
পরিবেশবাদি সংগঠণ সেভ দ্যা নেচার অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জে হোসেন জানান, মৃত তিমিটির আঘাতের চিহ্ন এবং গন্ধে অনুমান করা যাচ্ছে অন্তত এক সপ্তাহ আগে তিমিটি মারা গেছে। সাগরে ফেলা কোন রাসায়নিক বর্জ্য খাওয়ার পরে এ তিমির মৃত্যু হতে পারে। তাই মৃত তিমিটিও মানুষের জন্য ক্ষতিকর।
মেরিন ড্রাইভ সড়কে হিমছড়ি এলাকায় দেখা যায়, সৈকতে বালুর মধ্যে বিশাল মৃত তিমিটি পড়ে আছে। তিমির শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে। মুখের অংশ একাবারেই গলে গেছে। বিকাল ৫ টা পর্যন্ত তিমিটি উদ্ধারে কোনো তৎপরতা শুরু হয়নি। তবে তিমিটি দেখার জন্য উৎসুক মানুষের ভিড় জমেছে।
পরিবেশবাদী সংগঠন কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা বলেন, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে পৃথক দুটি বিশাল তিমি এভাবে ভেসে এসেছিল। দীর্ঘদিন পর আবার বিশাল মৃত তিমি সৈকতে ভেসে এসেছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আমিন আল পারভেজ জানান, বন বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর, মৎস্য অধিদপ্তর সম্বনয়ে এটি কি করা যায় এটা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে মৃত্যুর কারণ নির্ধারণ করে এটি মাটিতে পুঁতে ফেলা হবে।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply