শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫৬ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকনাফে শরণার্থী ক্যাম্প সংলগ্ন ‘স্থানীয় বাসিন্দার বাড়ীতে আগুন লাগানোর চেষ্টাকালে’ এক রোহিঙ্গা নারীকে আটক করেছে আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ান (এপিবিএন)।
কক্সবাজারস্থ ১৬ এপিবিএন এর অধিনায়ক এসপি মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাত পৌণে ৮ টায় টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ২৪ নম্বর লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পশ্চিম লেদা এলাকায় আগুন লাগানোর চেষ্টার এ ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনায় আটক রকিমা খাতুন (৫০) টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া নিবন্ধিত ক্যাম্পের বি-ব্লকের ১০৫৩ নম্বর শেডের বাসিন্দা মৃত আব্দুল গফুরের স্ত্রী।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে এসপি তারিকুল বলেন, মঙ্গলবার রাতে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম লেদা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা এজাহার মিয়ার বাড়ীতে এক নারী কেরোচিন তেল ঢেলে আগুন লাগানোর চেষ্টা চালায়। এসময় তার ( এজাহার মিয়া ) এক ছেলে ঘটনাটি দেখতে পেলে ওই নারী দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়রা ধাওয়া দিয়ে কেরোচিনের জারসহ তাকে (ওই নারী ) ধরে ফেলে।
“ এরপর ঘটনাটি তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা এপিবিএন সদস্যদের অবহিত করে। খবর পেয়ে এপিবিএন এর একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে কেরোচিনের জারসহ ওই নারীকে আটক করে। ”
এপিবিএন এর অধিনায়ক বলেন, “ এজাহার মিয়ার বাড়ীটি বাঁশ-গাছের তৈরী কাঁচাঘর ছিল। আগুন লাগানোর চেষ্টাকালে স্থানীয়রা ঘটনাটি দেখে ফেলায় অগ্নিকান্ডের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। অন্যথায় অগ্নিকান্ড সংঘটিত হলে আগুন স্থানীয়দের বসতঘর সহ পাশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও ছড়িয়ে পড়ার আশংকা ছিল। ”
এর আগে গত শনিবার (২৭ মার্চ) রাতে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ২২ নম্বর উনচিপ্রাং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অজ্ঞাত এক দূর্বৃত্ত কর্তৃক আগুন লাগানোর চেষ্টা চালিয়েছিল।
গত ২২ মার্চ উখিয়ার বালুখালী ৮-ডব্লিউ ক্যাম্পে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। পরে পাশের ৯ , ১০ ও ১১ নম্বর ক্যাম্পেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যু এবং অনেকে আহত হয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রায় ১০ হাজার রোহিঙ্গা বসতি এবং অন্তত ৪৫ হাজার মানুষ। এছাড়া স্থানীয়দের দুই শতাধিক বসতঘর ও দোকানসহ নানা স্থাপনাও আগুনে ভস্মিভূত হয়।
আগুন লাগানোর চেষ্টার ঘটনায় আটক নারীর বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান এপিবিএন এর অধিনায়ক এসপি তারিকুল ইসলাম।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply