শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
টেকনাফ ছাড়াও এবার নতুন করে উখিয়া-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ভেসে আসছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ চকরিয়ায় জেলা পরিষদের জমিতে নির্মিত আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটি গঠণ সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে কক্সবাজার শহরে এসে সেন্টমার্টিন দ্বীপবাসির সড়ক অবরোধ পাহাড়ী আস্তানা থেকে মালয়েশিয়া পাচারকালে শিশুসহ ৩১ জন উদ্ধার, দুই দালাল আটক সাবের মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর পিএস ফিরোজ কক্সবাজারে গ্রেপ্তার মিয়ানমারের বাঘগুনা খালের পাশে রয়েছে নিমার্ণ সামগ্রী ও দুইটি ট্রলার, মাঝি-মাল্লা সহ ১১ জনের হদিস নেই মিয়ানমারের উপজাতি সম্প্রদায়ের ৬৫ নাগরিকের অনুপ্রবেশ চকরিয়ায় কিশোরকে ছুরিকাঘাত : আটক ৪ চকরিয়ায় ফেরিওয়ালার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

মিয়ানমারে বুধবারে ৩৮ জনের মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারে বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের গুলি ও সংঘাতে অন্তত ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বুধবার, যাকে জাতিসংঘ বর্ণনা করেছে সামরিক অভ্যুত্থানের পর ‘সবচেয়ে রক্তাক্ত দিন’ হিসেবে।

এর মধ্যেই দেশটির গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনকারীরা বৃহস্পতিবার নতুন করে বিক্ষোভে নামার অঙ্গীকার করেছে বলে খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এক মাস আগে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী সে দেশের নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকেই সেখানে বিক্ষোভ ও রক্তপাত ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।

মঙ্গলবার দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলো মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে সংযম দেখানোর আহ্বান জানানোর পরদিনই এক মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটল।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে রয়টার্স লিখেছে, বুধবার পুলিশ ও সৈন্যরা গুলি চালানোর আগে বিক্ষোভকারীদের সেভাবে সতর্কও করেনি।

মং সংখ নামের এক আন্দোলনকারী বলেন, “আমরা জানি, যে কোনো সময় গুলিতে নিহত হতে পারি। কিন্তু জান্তার অধীনে বেঁচে থাকার কোনো অর্থ নেই। মুক্তির জন্য বিপজ্জনক এই পথই বেছে নিয়েছি আমরা।

“আমরা যেভাবে পারি জান্তার সঙ্গে লড়াই করে যাব। সামরিক জান্তার শেকড় গোড়া থেকে উপড়ে ফেলাই আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য।”

মিয়ানমারের ‘জেনারেল স্ট্রাইক কমিটি অব ন্যাশনালিটিস’ বৃহস্পতিবার প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছে বলে জানিয়েছেন মং সংখ।

বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গনে তাদের আরও অন্তত দুটি বিক্ষোভ আয়োজনের পরিকল্পনা আছে বলে অন্যান্য আন্দোলনকারীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পোস্টে জানিয়েছেন।

মিয়ানমার বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিনা শানার নিউ ইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, মিয়ানমারে ১ ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পর থেকে ৩৮ মৃত্যু নিয়ে বুধবার সবচেয়ে ‘রক্তাক্ত দিন’ ছিল, এতে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দৃঢ় করার চেষ্টায় মোট মৃত্যু ৫০ ছাড়িয়ে গেছে। 

অধিকার আন্দোলনকারী গোষ্ঠীগুলো ও কিছু গণমাধ্যম বুধবারের সহিংসতায় আহত ও নিহতের ভিন্ন ভিন্ন সংখ্যা দিয়েছে। নিহতদের মধ্যে চারটি শিশু আছে বলে একটি দাতব্য সংস্থা জানিয়েছে।

এদিন কয়েকশত আন্দোলনকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।

এসব বিষয়ে মন্তব্য নেওয়ার জন্য ফোন করা হলেও ক্ষমতাসিন সামরিক কাউন্সিলের মুখপাত্র জবাব দেননি বলে রয়টার্স জানিয়েছে।

অং সান সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি দল এক বিবৃতিতে নিহতদের স্মরণে তাদের কার্যালয়গুলোতে পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে বলে জানিয়েছে।

ক্রিস্টিনা শানার জানান, অভ্যুত্থানের প্রতিক্রিয়ায় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী কয়েকটি দেশের কঠোর পদক্ষেপ ও নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারে বলে বাহিনীটির উপপ্রধান সোয়ে উয়িনকে সতর্ক করেন তিনি।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “এর উত্তর ছিল: ‘আমরা নিষেধাজ্ঞায় অভ্যস্ত আর আমরা বেঁচেও ছিলাম’।

“তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে বলে যখন আবার সতর্ক করলাম, উত্তর পেলাম: ‘অল্প কিছু বন্ধু নিয়ে চলা শিখতে হবে আমাদের’।”  

কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের শুক্রবার রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসার কথা আছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888