শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:১২ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
আন্তর্জাতিকভাবে পুরস্কার পেল সায়মন বিচ রিসোর্ট ও সায়মন হেরিটেজ টেকনাফে ৫ কোটি টাকার মূল্যের ১ কেজি আইসসহ গ্রেপ্তার ১ পেকুয়ায় শহীদ ওয়াসিমের কবর জিয়ারত ও পরিবারের সাথে সাক্ষাত করলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রিয় নেতৃবৃন্দ ইনানী সৈকতে গোসলে নেমে পর্যটকের মৃত্যু নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ ও নিরাপদ পর্যটনের জন্য ‘সমুদ্র সন্ধ্যা’ রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে জি থ্রি রাইফেল সহ আরসা কমান্ডার আটক টেকনাফের পাহাড়ে জেল ফেরত যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার টেকনাফে ৭ লাখ টাকা মালামাল নিলামে সর্বোচ্চ ডাককারি স্থল বন্দরের বিশিষ্ট আমদানি ও রপ্তানি কারক সিআইপি ওমর ফারুক টেকনাফের নিকটবর্তী মিয়ানমারের ‘লালদিয়া’ নিয়ন্ত্রণে তীব্র সংঘাত : গুলি আসছে স্থলবন্দর ও আশে-পাশের এলাকায় কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার

করোনার ভ্যাক্সিন: জেলায় এ পর্যন্ত নিবন্ধিত ৫২ হাজার ৯৭২, গ্রহণ করেছেন ৩৬ হাজার ৯৭২ জন

বিশেষ প্রতিবেদক: দেশব্যাপী করোনাভাইরাসের গণ টিকাদানের ১১ তম দিন (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত কক্সবাজারে টিকাগ্রহণের জন্য নিবন্ধন করেছেন মোট ৫২ হাজার ৯৭২ জন; এদের মধ্যে টিকাগ্রহণ করেছেন ৩৬ হাজার ৭৯২ জন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মো. মাহবুবুর রহমান।

তবে শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকায় টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ ছিল।

সিভিল সার্জন ডা. মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, সারাদেশের মত গত ৭ ফেব্রুয়ারী কক্সবাজারে করোনাভাইরাসের গণ টিকাদান কর্মসূচী শুরু হয়েছে। টিকাগ্রহণে মানুষের মাঝে আশাব্যঞ্জক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।

“ প্রথম ডোজের টিকাদানের ১১ তম দিন (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত কক্সবাজার জেলায় টিকাগ্রহণের জন্য মোট নিবন্ধিত হয়েছেন ৫২ হাজার ৭৯২ জন। নিবন্ধিতদের মধ্যে এ পর্যন্ত টিকাগ্রহণ করেছেন ৩৬ হাজার ৭৯২ জন। ”

সিভিল সার্জন বলেন, “ টিকাগ্রহণের জন্য নিবন্ধিত হয়েছেন কক্সবাজার সদর উপজেলায় ১৪ হাজার ৫৪৮ জন, রামু উপজেলায় ১১ হাজার ৩৮০ জন, উখিয়া উপজেলায় ৫ হাজার ৬৫৭ জন, টেকনাফ উপজেলায় ৪ হাজার ৩৩৯ জন, চকরিয়া উপজেলায় ৭ হাজার ৩৩৪ জন, পেকুয়া উপজেলায় ২ হাজার ৬৪৬ জন, মহেশখালী উপজেলায় ৪ হাজার ৯১৯ জন এবং কুতুবদিয়া ২ হাজার ১৪৯ জন। ”

নিবন্ধিতদের মধ্যে ১১ তম দিন ( বৃহস্পতিবার ) টিকাগ্রহণ করেছেন, কক্সবাজার সদর উপজেলায় ৮ হাজার ৬৯৮ জন, রামু উপজেলায় ৮ হাজার ৫১০ জন, উখিয়া উপজেলায় ৩ হাজার ৭৪৯ জন, টেকনাফ উপজেলায় ৩ হাজার ৪৫১ জন, চকরিয়া উপজেলায় ৫ হাজার ৩৭৬ জন, পেকুয়া উপজেলায় ১ হাজার ৮৯৫ জন, মহেশখালী উপজেলায় ৩ হাজার ৪৮৭ জন এবং কুতুবদিয়া উপজেলায় ১ হাজার ৬২৬ জন।

ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, “ প্রথম দফায় কক্সবাজার জেলার জন্য করোনাভাইরাসের টিকা এসেছে ৮৪ হাজার ডোজ। প্রতিজন ব্যক্তিকে ২ ডোজ করে টিকা প্রদান করা হবে। সেই হিসেবে ৪২ হাজার জনকে টিকাদান করা সম্ভব হবে। ”

সিভিল সার্জন জানান, প্রথম দফায় আসা ৮৪ হাজার ডোজ টিকাদান সম্পন্ন হওয়ার পর জনসংখ্যার নিমিত্তে চাহিদাপত্র তৈরী করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অবহিত করা হবে। জেলার সব বাসিন্দাকে টিকাদানের আওতায় আনা হবে।

রোববার একযোগে সারাদেশের মত কক্সবাজার জেলায়ও করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচীর উদ্বোধন হয়। এই দিন প্রথম টিকাগ্রহণ করেছেন কক্সবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী। এরপর কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা মোস্তাক, সিভিল সার্জন ডা. মো. মাহবুবুর রহমান, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু তাহের ও বাংলাদেশ মেডিকেল এসাসিয়েশন (বিএমএ) কক্সবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. মাহাবুবুর রহমান সহ আরো কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

উল্লেখ্য, গত ৩১ জানুয়ারী ৮৪ হাজার ডোজ করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন কক্সবাজারে আনা হয়। বেক্সিমকো ফার্মার একটি ফ্রিজার কাভার্ডভ্যান যোগে এসব টিকা আনা হয়েছে। কক্সবাজার সিভিল সার্জন অফিসের ইপিআই স্টোরে টিকাগুলো রাখা হয়েছে।

ভ্যাকসিনগুলো ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনের ‘কোভিশিল্ড’ টিকা। এসব করোনা ভ্যাকসিনের নিরাপত্তার জন্য সিভিল সার্জন অফিসে পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে।

কক্সবাজারে আনা ৮৪ হাজার করোনাভাইরাসের টিকার মধ্যে ৮ হাজার ৪০০ টি ভায়াল রয়েছে। প্রতিটি কার্টনে ১ হাজার ২০০ টি ভায়াল রয়েছে। প্রতিটি ভায়ালে রয়েছে ১০ ডোজ টিকা। একজন ব্যক্তি ২ ডোজ করে করোনাভাইরাসের নিতে হবে। সেই হিসেবে জেলায় ৪২ হাজার মানুষ টিকা নিতে পারবে। কোন ব্যক্তি প্রথম ডোজ টিকাগ্রহণের ৮ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণ করতে পারবেন।

সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী ১৫ ক্যাটাগরির নাগরিকগণ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হবে।

এসব ক্যাটাগরিভুক্ত ব্যক্তি ও পেশা হল, সকল সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয়, স্বাস্থ্যকর্মি, স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা বিষয়ক সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্বাস্থ্য বিভাগীয় সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, মেডিকেল কলেজের সকল শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী, সেনাবাহিনীসহ প্রতিরক্ষা বাহিনীর সকল সদস্য, বিজিবি, পুলিশ, মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা, গণমাধ্যমকর্মি, ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে নিয়োুিজত স্বেচ্ছাসেবক, রাষ্ট্র পরিচালনার নিমিত্তে অপরিহার্য সরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, মন্ত্রণালয়, বিভাগ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সেবাদানকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, অনুমোদিত বেসরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয়, স্বাস্থ্যকর্মি, করোনার সম্মুখযোদ্ধাসহ আরো কিছু প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত স্টাফ ও ব্যক্তিবর্গ প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888