কাইছার সিকদার, কুতুবদিয়া : কুতুবদিয়া উপজেলার এলজিইডি ও ডিপিএইচই কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প সমূহ নিয়ে কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা ৬ (ফেব্রুয়ারি) শনিবার কুতুবদিয়া উপজেলা হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কক্সবাজার-২ আসনের সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিকের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলাল উদ্দিন আহমেদ।

এছাড়া কুতুবদিয়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রতিবন্ধীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, এলজিইডি নতুন অফিস ভবন উদ্বোধন করেন। পরে অতিথিগণ বড়ঘোপ ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজিত নাগরিক সমাবেশ ও উন্নয়ন শীর্ষক আলোচলা সভায় অংশগ্রহণ করেন।

নাগরিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, উন্নয়নে বদলে যাবে কুতুবদিয়ার চিত্র। কুতুবদিয়ায় আগামী বছরের মধ্যে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ চলে আসবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সারাদেশের প্রতি উপজেলার সদর ইউনিয়ন পৌরসভা করা হবে। তারই ধারাবাহিকতায় কুতুবদিয়ার বড়ঘোপ ইউনিয়ন ও পৌরসভায় রূপান্তরিত হবে। প্রতিটা ইউপি চেয়ারম্যান, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের দ্বারা উত্থাপিত সকল উন্নয়ন কর্মকান্ডের আবেদন অবশ্যই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরে উপস্থাপন করা হবে। ইতিমধ্যে কিছু প্রকল্পের কাজ চলমান ও কিছু কিছু বাস্তবায়ন হয়েছে।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, কুতুবদিয়ায় সম্ভাব্য পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে তুলতে পর্যটকদের অবাদ যাতায়াতের লক্ষ্যে পারাপারে অবশ্যই ফেরির ব্যবস্থা করা জরুরী, সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম শেষে বড়ঘোপ ইউনিয়নকে পৌরসভা হিসেবে ঘোষণা করা হবে। কুতুবদিয়ার মত প্রত্যন্ত দ্বীপাঞ্চলের মানুষের কাছে এসে মতবিনিময় করার জন্য সচিব মহুদয়ের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, কুতুবদিয়ার উন্নয়নে যে সমস্ত কাজ অসমাপ্ত রয়েছে সেগুলো নোট করা হয়েছে, যথাসময়ে সেসব কাজ স¤পাদন করা হবে। কুতুবদিয়া মহেশখালীর সাথে যে টানেলের কথা বলা হয়েছে তা অতিশীঘ্রই বাস্তবায়ন করা হবে, কুতুবদিয়া ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় আসবে। কুতুবদিয়াকে ডিজিটাল আইল্যান্ড হিসেবে ঘোষনা করা হবে।

আরো বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক মুজিবুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আওরঙ্গজেব মাতবর, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুচ ছাফা বিকম, ডিডিএলজি কক্সবাজার জেলা শ্রাবস্তী রায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জহিরুল হায়াত, জেলা আ’লীগের সদস্য শফিউল আলম, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মনজুর আলম সিকদার, সাংবাদিক হাসান কুতুবী, উঃ পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা আক্তার বিউটি, বড়ঘোপ ইউপি চেয়ারম্যান আ.ন.ম শহীদ উদ্দীন ছোটন, উত্তর ধুরুং ইউপি চেয়ারম্যান আ.স.ম শাহরিয়ার চৌধুরী, দক্ষিণ ধূরুং ইউপি চেয়ারম্যান ছৈয়দ আহমদ চৌধূরী, লেমশিখালী ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন, কৈয়ারবিল ইউপি চেয়ারম্যান জালাল আহমদ প্রমূখ।

উপস্থিত ছিলেন মহেশখালী পৌরসভা মেয়র মুকসুদ মিয়া, টেকনাফ পৌরসভা মেয়র মো. ইসলাম, কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জালাল উদ্দিন, উপজেলা সহকারী পরিদর্শক ভূমি হেলাল চৌধুরী, উপজেলা সমাজসো অফিসার মো. আমজাদ হোসেন, সাবেক ছাত্রনেতা রমিজ আহমেদ, উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক স¤পাদক জাহেদুল ইসলাম ফরহাদ, উপজেলা আ’লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক স¤পাদক রেজাউল করিম, ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম সিকদার, ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি মিজানুর রহমান টিটু, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আবু জাফর ছিদ্দিকী, যুহগ্মআহ্বায়ক সেলিম উদ্দিন লিটন, সাবের আহমদ কো¤পানী, উপজেলা প্রকৌশলী ছিদ্দিকুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা কাইমুল ইসলাম, উপজেলা শ্রমিকলীগের আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম, যুগ্মআহ্বায়ক ছৈয়দ মোজাম্মেল, যুবনেতা সাজ্জাদ মাতবর, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সদস্য সুজন সিকদার, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি খোরশেদ আলম, সাধারণ সসাডাদক মিজবাউর রহমান তুহিন, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক তারেক আজিজ, গণমাধ্যমকর্মীসহ কুতুবদিয়ার বিভিন্ন স্থরের সহস্রাধিক জনগণ।